প্রকৃতির নিয়ম কি অদ্ভুত তাইনা? গতকালই যা ছিল শীতের ঠান্ডা বাতাস,আজ তা বসন্তের মিষ্টি বাতাসে রূপ নিয়েছে।
পুরো শীত জুড়ে গাছগুলো থেকে পাতা ঝড়ে হয়েছে পাতা শূন্য।সেই পাতা শূন্য গাছে গজানো শুরু করেছে নতুন নতুন পাতা।গাছে গাছে ফুটতে দেখা যাচ্ছে কি বাহারি ফুল।ফুলের সমারোহ ও গন্ধে প্রকৃতি যেন প্রাণ ফিরে পেয়েছে। পাতা শূন্য শিমুল গাছে শিমুল ফুল, আম গাছের আমের মুকুলের গন্ধ ও কৃষ্ণচূড়া ফুলের সমারোহ যেন জানান দিচ্ছে বসন্তের আগমন। হ্যাঁ,প্রকৃতিতে ঋতুরাজ বসন্তের আগমন ঘটেছে। ফাল্গুন ও চৈত্র আগামী এই দুই মাস ধরে প্রকৃতিতে চলবে ঋতুরাজ বসন্তের রাজত্ব।
ফুলের সাথে বসন্তের প্রেম বেশ গভীর।কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের ভাষায় বসন্তের শাশ্বত রূপটি হলো- “ফুল ফুটুক আর না-ই ফুটুক আজ বসন্ত।” প্রকৃতিতে নানা ফুলের সমারোহ মানে ঋতুরাজ বসন্তের অনিন্দ্য রূপ।
তরুণ প্রজন্মের তরুণীদের মধ্যে বসন্তকে নিয়ে ভাবনার শেষ নেই। নানা রঙের শাড়িতে নিজেদের সজ্জিত করা,নানা আয়োজনে বসন্তকে বরন করে তারা।
তরুণরাও এদিক থেকে পিছিয়ে নেই। বাহারি রকমের হাতের কাজ করা পাঞ্জাবিতে তারা বসন্তকে বরন করে নেয়। বসন্ত যেন শুধু ফুলের ঋতু নয় বরং গানেরও ঝতু। এসময়ে কোকিল তার মিষ্টি কন্ঠে ডাকে অবিরত।বাউল সম্রাট শাহ আব্দুল করিম বসন্ত নিয়ে গেয়েছেন, “বসন্ত বাতাসে সই গো বসন্ত বাতাসে, বন্ধুর বাড়ির ফুলের গন্ধ আমার বাড়ি আসে, সইগো বসন্ত বাতাসে।”
বসন্ত যেন এক প্রেমের ঋতুও বটে। প্রেমিকাকে ভালোবেসে তাইতো অনেক প্রেমিকের আবদার, এ “ফাগুনী পূর্নিমার রাতে চলো পলায়ে যাই।”
বসন্তের এই আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে সবার মাঝে। তাই তো সবাই বলে “বসন্ত এসে গেছে”।
লেখক- শিক্ষার্থী, নৃবিজ্ঞান বিভাগ
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা।