জলীয় বাষ্প হঠাৎ বরফে পরিণত হওয়ায় রাজধানীসহ বিভিন্ন স্থানে অসময়ে শিলাবৃষ্টি হচ্ছে৷ এজন্য পশ্চিমা লঘুচাপও দায়ী৷ তবে বিষয়টি অস্বাভাবিক নয়। মঙ্গলবার (০৫ নভেম্বর) রাতে শিলাবৃষ্টি হওয়ার কারণ এভাবেই ব্যাখ্যা করলেন আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার হোসেন৷
তিনি বলেন, বায়ুমণ্ডলে যত ওপরের দিকে যাওয়া হবে, তত ঠান্ডা পরিবেশ পাওয়া যাবে।
তবে এই ফ্রিজিং লেবেল নিচে নেমে এসেছে কোনো কারণে। ফলে বাতাসের জলীয় বাষ্পের হঠাৎ বরফে পরিণত হয়েছে গতরাতে। যে কারণে শিলা বৃষ্টি হয়েছে। আজও হতে পারে। তবে এটি স্বাভাবিক ঘটনা। এই সময়ে এমন হতে পারে। তিনি বলেন, এখন পশ্চিমা লঘুচাপ সক্রিয় রয়েছে। এর কারণে বৃষ্টি হচ্ছে। এরপর হিমালয় থেকে আসা বাতাসের প্রভাব বাড়বে। তখন কমে যাবে।
তিন দিনের এক পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপটি দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।
এই অবস্থায় বৃহস্পতিবার (০৭ নভেম্বর) সকাল পর্যন্ত খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারাদেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। ভোরের দিকে সারাদেশের নদী অববাহিকার কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শুক্রবার (০৭ নভেম্বর) সকাল পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারাদেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। ভোরের দিকে সারাদেশের নদী অববাহিকার কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।
শুক্রবার সকাল থেকে শনিবার (০৯ নভেম্বর) অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারাদেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। ভোরের দিকে সারাদেশের নদী অববাহিকার কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। বর্ধিত পাঁচ দিনের আবহাওয়ায় দেশের দক্ষিণাঞ্চলে বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হতে পারে।