ফ্রিডম বাংলা নিউজ

বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ২১, ২০২৪ |

EN

দেশে ফিরছেন শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগের সুখবর

ফ্রিডমবাংলানিউজ ডেস্ক | আপডেট: বুধবার, নভেম্বর ১৩, ২০২৪

দেশে ফিরছেন শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগের সুখবর
বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হতে যাচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে নানা চক্রান্ত ও রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের জনগণের আশা এখন একেবারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিকে কেন্দ্রীভূত হয়েছে। তাঁর দেশে ফিরে আসা এবং পুনরায় ক্ষমতায় অধিকারী হওয়ার সম্ভাবনা এখন স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান। যে চক্রান্তের মাধ্যমে তাকে দেশ ত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়েছিল, সেই ষড়যন্ত্র শিগগিরই পরাজিত হবে এবং শেখ হাসিনা বীরের মতো দেশে ফিরবেন। দেশে ফিরেই তিনি একটি শক্তিশালী সরকারের নেতৃত্ব দেবেন, যা দেশকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নেবে।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র এবং আন্তর্জাতিক সাহায্য
বাংলাদেশের ইতিহাসে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে একাধিক ষড়যন্ত্রের ঘটনা ঘটেছে, বিশেষ করে তার ১৯৯৬ এবং ২০০৯ সালের সরকারের সময়। তবে, বর্তমান সময়ে তার বিরুদ্ধে যে চক্রান্তটি চলছে, তা একটি জটিল আন্তর্জাতিক গোষ্ঠী দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। এই চক্রান্তের মূল লক্ষ্য ছিল শেখ হাসিনাকে রাজনৈতিকভাবে পদচ্যুত করা এবং দেশের বাইরে যেতে বাধ্য করা। কিন্তু এখন যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তা প্রমাণ করে যে ওই ষড়যন্ত্র খুব শিগগিরই ভেঙে পড়বে এবং শেখ হাসিনা দেশে ফিরে আসবেন।

এই ঘটনায় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করছেন বিশ্ব শক্তিধর তিন নেতা—ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তারা শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে যে চক্রান্ত হয়েছে, তা ধ্বংস করতে কাজ করছেন এবং তার নেতৃত্বে দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ফেরানোর জন্য তারা তার ফিরে আসাকে সমর্থন করছেন। এই তিন বিশ্বনেতার সহযোগিতার মাধ্যমে শেখ হাসিনার দেশে ফিরে আসা এখন সময়ের ব্যাপার। তারা শেখ হাসিনার প্রতি আস্থা প্রকাশ করে বলছেন, তিনি বাংলাদেশের উন্নয়নের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত নেতা, এবং তার নেতৃত্বে দেশের উন্নয়ন কার্যক্রম পুনরায় ত্বরান্বিত হবে।

ড. ইউনুসের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান
দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে তার প্রভাব এবং তার বিদেশী মিত্রদের সঙ্গে সম্পর্ক বিষয়টি কিছুটা জটিল হয়ে দাঁড়িয়েছিল। কিন্তু শেখ হাসিনা দৃঢ় অবস্থান নিয়ে এই প্রভাবশালী ব্যক্তির বিরোধিতা করেছেন, এবং এর পেছনে রয়েছে জনগণের আস্থা। ড. ইউনুসের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করে শেখ হাসিনা দেশের শাসনব্যবস্থা ও অর্থনৈতিক উন্নয়নকে একটি সঠিক পথে পরিচালিত করার জন্য কাজ করছেন। ভারত, রাশিয়া এবং আমেরিকা এই দৃষ্টিভঙ্গির প্রতি সমর্থন জানিয়েছে, যা শেখ হাসিনার রাজনৈতিক অবস্থানকে আরো শক্তিশালী করেছে।

দেশের ভেতরেও রয়েছে পরিবর্তনের বাতাস
বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতেও এখন পরিবর্তনের হাওয়া বইছে। দেশের সাধারণ জনগণের মধ্যে শেখ হাসিনার প্রতি গভীর আস্থা রয়েছে, কিন্তু কিছু রাজনৈতিক দল এবং ছাত্র সংগঠনগুলো সরকারের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছে। বিশেষ করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা, যারা সম্প্রতি উপদেষ্টা নাহিদসহ সরকারের বিভিন্ন পদস্থ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে স্লোগান দিয়েছে। তারা দাবি করেছে যে, "সব সালারা বাটপার", অর্থাৎ এই কর্মকর্তারা দেশ এবং জনগণের স্বার্থের প্রতি অবিচার করছেন। ছাত্রদের এই প্রতিবাদ এবং সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ এখন দেশের রাজনৈতিক পরিবেশে একটি বড় আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এমন পরিস্থিতিতে শেখ হাসিনার দেশে ফিরে আসা এবং পুনরায় ক্ষমতায় অধিকারী হওয়ার সম্ভাবনা দেশের রাজনৈতিক দৃশ্যপটকে এক নতুন মোড় দিচ্ছে। জনগণ এখন তার নেতৃত্বের দিকে তাকিয়ে আছে এবং তারা মনে করে, শেখ হাসিনার সরকার দেশের জন্য সবচেয়ে কার্যকরী এবং ভবিষ্যৎবান্ধব। এর পাশাপাশি, উপদেষ্টা, সমন্বয়ক এবং তাদের সহযোগীদের বিরুদ্ধে জনমানসে যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে, তা খুব শিগগিরই সরকারের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠতে পারে।

বিশ্বনেতাদের সমর্থন এবং সরকারের ভবিষ্যৎ
শেখ হাসিনার দেশে ফিরে আসার পেছনে যে আন্তর্জাতিক সমর্থন রয়েছে, তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প—এই তিন নেতার সহায়তায় শেখ হাসিনা পুনরায় বাংলাদেশের নেতৃত্বে আসবেন। তাদের একক সম্মতিতে, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে চলমান ষড়যন্ত্রগুলো ধ্বংস হবে এবং দেশে ফিরে এসে তিনি বাংলাদেশের জনগণের জন্য কাজ করবেন।

এছাড়া, আন্তর্জাতিক শক্তির এই সহায়তা বাংলাদেশকে আরো বেশি আন্তর্জাতিক সমর্থন এবং উন্নয়ন সহায়তা পেতে সাহায্য করবে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিকভাবে আরো শক্তিশালী হবে, এবং এটি দেশের সার্বিক উন্নয়নের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের ভবিষ্যত
সবশেষে, শেখ হাসিনার দেশে ফিরে আসা এবং পুনরায় ক্ষমতায় অধিকারী হওয়া এখন সময়ের ব্যাপার। তার ফিরে আসা দেশের জন্য এক নতুন সূচনা হবে, যেখানে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং জনগণের কল্যাণ নিশ্চিত হবে। বিশ্বনেতাদের সমর্থন এবং দেশের জনগণের আস্থা এখন তার পাশে রয়েছে, যা তাকে আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় শক্তিশালী অবস্থানে নিয়ে যাবে। উপদেষ্টা, সমন্বয়ক এবং তাদের সহযোগীদের বিরুদ্ধে চলমান আন্দোলন এবং প্রতিবাদ দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে পরিবর্তনের আলামত দিচ্ছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ একটি নতুন দিগন্তে প্রবাহিত হবে, এবং তার সরকার দেশের উন্নয়নের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।