বিশ্ব রাজনীতিতে বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের রাজনীতি এখন যে জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে, সেটা হলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের।
শুরুতেই বাংলাদেশ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার সম্পর্ক দু এক কথা বলি, সেটা হলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আমাদের বাজার। আমরা তাদের বাজারে আমাদের পন্য বিক্রি করি সুতরাং অর্থনৈতিক সঙ্কট এড়াতে তাদের মতামত আমাদের নিতে হবে।
বাংলাদেশ ও ভারত একে অপরের বন্ধু। তবে এটা মনে রাখতে হবে ভারতের বাজার বাংলাদেশ। বাংলাদেশে তারা পন্য বিক্রি করে। সুতরাং বুঝাই যাচ্ছে ভারতের কাছে বাংলাদেশ কতটা গুরুত্বপূর্ণ।
ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একে অপরের বন্ধু। তাঁরা কখনোই চাইবে না, বাংলাদেশ ইস্যুতে তাদের মধ্যকার সম্পর্কের ক্ষতি হোক। এছাড়া ইন্দোপ্যাসিফিক অঞ্চলে দখলদারিত্ব বাড়াতে হলে ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এক থাকতে হবে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগকেই ক্ষমতায় রাখতে চায়। তবে তারা এটা বুঝতে দিবে না বিএনপি - কে। অথচ বিএনপি আশা করে বসে আছে আমেরিকা তাদের হাতে ক্ষমতা তুলে দিবে। বিএনপির সাথে আগের বার যা করছিলেন ড. কামাল হোসেন, এইবার সেটা করবে আমেরিকা।
আমেরিকা বিএনপি-কে সব রকম আন্দোলন, বিরোধীতা বা সভা ইত্যাদির স্বাধীনতা দিতে বাধ্য করবে সরকারকে, যাতে কম জনসমর্থন ও অজনপ্রিয় সরকার হিসেবে আওয়ামী লীগকে নমনীয় থাকতে বাধ্য হয়।
রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিল করতে আমেরিকা বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রণের মূল ভার ভারতের হাতেই রাখবে, তবে বাংলাদেশে যাতে ভারত বিরোধী মনোভাব স্থিমিত বা নিভু নিভু অবস্থায় থাকে তাই মাঝে মাঝে নানা রকম আশার বাণী তারা শোনাবে আমেরিকা।
অথচ চীন বাংলাদেশকে আমেরিকার বিরুদ্ধে যাওয়ার মতো তত চাপ দিতে পারবে না অর্থনৈতিক কারণেই। কারণ ইউরোপ ও আমেরিকার রপ্তানি আয় ছাড়া চীনের পাওনা টাকা মিটানোর উপায় বাংলাদেশের এখন নাই।
চলমান রাজনীতেতে বিএনপি -র জনগণ প্রতিবাদ করতে থাকবে। প্রতিবাদই এখন তাদের একমাত্র রাজনীতি। বিদেশি শক্তির উপর নির্ভর করে ক্ষমতায় আসার কথা ভুলে গিয়ে রাজনৈতিক ভাবে ক্ষমতায় যাওয়ার চেষ্টা না করে বিএনপি আবারও পিছিয়ে গেলো রাজনীতি থেকে। বার বার ব্যার্থ আন্দোলনের ডাকে বিএনপি নিজেদের ক্রমশ দূর্বল করে ফেলেছে। যার খেসারত বইয়ে বেড়াচ্ছে দলটির সাধারণ কর্মীরা।
রাজনৈতিক ভাবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিজয় হয়েছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে, এই বিজয়ে টানা চতুর্থবারের মতো ক্ষমতায় বঙ্গবন্ধু তনয়া দেশরত্ন শেখ হাসিনা।
লেখক- রকি মেরাজ, শিক্ষার্থী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা, কর্মী, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।