উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল আর টানা বৃষ্টিতে টাঙ্গাইলের যমুনা নদীতে হু হু করে বাড়ছে পানি। পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার ফলে জেলার ১২ উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। এতে করে ভয়াবহ বন্যার আশঙ্কা করছেন জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড।
পানির তীব্র স্রোতে ভাঙছে ছোটবড় রাস্তাঘাট। আতঙ্কে রয়েছেন নিম্নাঞ্চলের মানুষ। বাড়ছে জেলার অন্য নদীর পানিও। টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সিরাজুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে নদী তীরবর্তী এলাকাগুলোতে তীব্র স্রোতে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ফলে ঘর-বাড়ী, বসতভিটাসহ নানা স্থাপনা নদীগর্ভে চলে যাচ্ছে। ভাঙনকবলিত এলাকাগুলোতে অতি দ্রুত ভাঙন রোধে কার্যকর প্রদক্ষেপ নেওয়ার জোর দাবী জানিয়েছেন ভাঙনের শিকার পরিবারগুলো।
পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি জোকারচর পয়েন্টে ৩৭ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৪৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
অপরদিকে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় জেলার ভূঞাপুর, কালিহাতী, টাঙ্গাইল সদর উপজেলার বিস্তীর্ণ চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। বসতবাড়িতে উঠতে শুরু করেছে বন্যার পানি। এ ছাড়াও শত শত একর জমির পাট, তিল, কাউন, বাদাম, শাক-সবজিসহ বিভিন্ন ফসল বন্যার পানির নিচে চলে যাচ্ছে। এতে করে চরম আর্থিক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষকরা।
টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সিরাজুল ইসলাম আরো বলেন, যমুনাসহ সবকগুলো নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। পানি বৃদ্ধির গতিবিধি ভালো না। সামনে বন্যা আসছে। এজন্য সবাইকে সচেতন হতে হবে। বিপৎসীমা অতিক্রম করায় বন্যা পরিস্থিতি ক্রমশই অবনতির দিকে যাচ্ছে।
টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক ড. মো. আতাউল গনি বলেন, যে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় সরকারের প্রস্তুতি রয়েছে। টাঙ্গাইলে বন্যার আশঙ্কায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রাখা হয়েছে।