শ্বাসরুদ্ধকর লড়াইয়ের পরও হেরে গেল নেপাল। দক্ষিণ আফ্রিকাকে কাঁপিয়ে মাত্র ১ রানে হেরে যায় তারা। মাত্র দুই ইঞ্চির জন্য রান আউট হয়ে ইতিহাস গড়তে পারেনি নেপাল। শনিবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিংস্টনে অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসরের ৩১তম ম্যাচে রোমাঞ্চকর লড়াইয়ের পরও হেরে যায় নেপাল। ১২০ বলে ১১৬ রানের সহজ টার্গেট তাড়া করতে নেমে ১ রানে হারে নেপাল।
শেষ বলে দুই রান তাড়া করতে নেমে সিঙ্গেল নেওয়ার আগেই দুই ইঞ্চির জন্য রান আউট হন নেপালের ব্যাটসম্যান গুলশান জার। সিঙ্গেল রান হলেও ম্যাচটি টাই হতো। তখন সুপার ওভারে গড়াতো। কিন্তু নেপাল শেষ বলে ১ রানও করতে পারেনি। যে কারণে পরাজয় মেনে নিতে হয়।
দক্ষিণ আফ্রিকার মতো শক্তিশালী দলের বিপক্ষে নেপালের এমন স্নায়ু চাপের ম্যাচে হেরে যেতে দেখে সুজয় নামে এক ক্রিকেট বিশ্লেষক ২০১৬ সালে বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচের প্রসঙ্গ টানেন। সেই বছর ভারতে অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের হট ফেবারিট ভারতের বিপক্ষে শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে লড়াই করেও ১ রানে হেরে যায় বাংলাদেশ। সেই ম্যাচে শেষ ওভারে বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল ১১ রান। বল করতে আসেন হার্দিক পান্ডিয়া। প্রথম বলে সিঙ্গেল নেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। স্ট্রাইকে ছিলেন মুশফিক। পরের দুই বলে দুটি চার মারেন তিনি। পরের বলে আউট মুশফিক।
দুই বলে বাংলদেশের প্রয়োজন দুই রান। পরের বলে উঠিয়ে মারতে গিয়ে ক্যাচ তুলে আউট মাহমুদউল্লাহ। ১ বলে টাইগারদের প্রয়োজন দুই রান। শেষ বলটি ব্যাটে লাগাতে পারলেন না শুভাগত হোম। রান নিতে গিয়ে রান-আউট মোস্তাফিজ। রোমাঞ্চকর সেই ম্যাচে ১ রানে হেরে যায় বাংলাদেশ।
ভারত-বাংলাদেশের সেই ম্যাচের মতো একই দৃশ্যের অবতারণা হয় আজ দক্ষিণ আফ্রিকা-নেপাল ম্যাচে। বাংলাদেশের মতো স্নায়ু চাপের কারণে নেপালও হেরে যায়।