ফ্রিডম বাংলা নিউজ

বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ২১, ২০২৪ |

EN

ভারত-চিন সম্পর্ক প্রত্যাশিত গতি পায়নি

ওপার বাংলা ডেস্ক | আপডেট: শুক্রবার, মার্চ ২৫, ২০২২

ভারত-চিন সম্পর্ক প্রত্যাশিত গতি পায়নি
চিনা বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে তিন ঘণ্টা আলোচনার পরে সাংবাদিক বৈঠকে জয়শঙ্কর বললেন, ‘‘দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অগ্রগতিতে কাজ চলছে। তবে তা এখনও প্রত্যাশিত গতি পায়নি।’’ পাশাপাশি তাঁর স্বীকারোক্তি, ‘‘সীমান্তে উত্তেজনার কারণে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এখনও স্বাভাবিক নয়।’’

দু’বছর আগে লাদাখের গালওয়ান উপত্যকার রক্তাক্ত স্মৃতি এখনও পুরোপুরি ফিকে হয়নি। দু’দিন আগে পাকিস্তানে মুসলিম দেশগুলির জোট ‘অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কোঅপারেশন’ (ওআইসি)-র সম্মেলনে চিনা বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই-র কাশ্মীর প্রসঙ্গে বিতর্কিত মন্তব্য ঘিরে কূটনৈতিক তরজা চলেছে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত। টানাপড়েনের এই আবহের শুক্রবার দুপুরে ওয়াংয়ের সঙ্গে বৈঠক করলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।

চিনা বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে তিন ঘণ্টা আলোচনার পরে সাংবাদিক বৈঠকে জয়শঙ্কর বললেন, ‘‘দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অগ্রগতিতে কাজ চলছে। তবে তা এখনও প্রত্যাশিত গতি পায়নি।’’ পাশাপাশি তাঁর স্বীকারোক্তি, ‘‘সীমান্তে উত্তেজনার কারণে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এখনও স্বাভাবিক নয়।’’ ২০২০-র এপ্রিলে লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলএসি)-তে চিনা সেনার ‘আচরণের’ কারণেই এমন অস্বাভাবিক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে জানান তিনি।


তবে সীমান্তে উত্তেজনা প্রশমনের লক্ষ্যে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়েছে বলে জানান জয়শঙ্কর। ২০২০-র ১৫ জুন গালওয়ানে সংঘর্ষের পর ওয়াংয়ের সঙ্গে টেলিফোনে লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলএসি)-য় উত্তেজনা কমাতে দ্রুত ‘মুখোমুখি অবস্থান থেকে সেনা পিছনো’ (ডিসএনগেজমেন্ট) এবং ‘সেনা সংখ্যা কমানো’ (ডিএসক্যালেশন)-র বিষয়ে আলোচনা করেছিলেন বিদেশমন্ত্রী। শুক্রবারের বৈঠকেও এ বিষয়ে কথা হয়েছে বলে জানান তিনি। সেনা স্তরের ১৫ দফা আলোচনাতেও ইতিবাচক অগ্রগতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন।

ভারতে আসার আগে বুধবার পাকিস্তানে ওআইসি-র সম্মেলনের উদ্বোধনী বক্তৃতায় ওয়াং কাশ্মীর প্রসঙ্গে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন। তিনি বলেন, ‘‘কাশ্মীরে প্রসঙ্গে আমরা আজ ফের আমাদের অনেক মুসলিম বন্ধুর আহ্বান শুনতে পাচ্ছি। চিনও তাদের সেই আশার সঙ্গে সহমত পোষণ করে।’’ এর পরেই বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে চিনা বিদেশমন্ত্রীর অনধিকার চর্চার ক়ড়া নিন্দা করেছিলেন।

জয়শঙ্কর জানিয়েছেন, এ বিষয়ে তাঁর সঙ্গে ওয়াংয়ের কথা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘আমি তাঁর কাছে ব্যাখ্যা করেছি যে কেন আমরা ওই বক্তব্যটিকে আপত্তিকর বলে মনে করেছি। এ নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে।’’ হৃদ্যতাপূর্ণ পরিবেশে চিনা প্রতিনিধিদলের আলোচনা হয়েছে বলেও দাবি করেন জয়শঙ্কর। যদিও কূটনৈতিক পরম্পরা বলছে, আলোচনা ইতিবাচক হলে যৌথ সাংবাদিক বৈঠক করাই দস্তুর। কিন্তু শুক্রবার তা হয়নি। জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের সঙ্গেও শুক্রবার পৃথক বৈঠক করেন ওয়াং।