পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের আরও কোটি কোটি টাকার হদিস মিলল। সূত্রের খবর, অর্পিতার আরও ৫ কোটি ৩২ লক্ষ টাকার হদিশ মিলল। ২ কোটি টাকা অর্পিতার নিজস্ব অ্যাকাউন্টেই রয়েছে। বাকি টাকা অর্পিতার ২ টি সংস্থার অ্যাকাউন্টে রয়েছে। ইডি সূত্রে তেমনটাই জানা যাচ্ছে।
এসএসসি দুর্নীতি মামলায় বুধবার ভার্চুয়ালি পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে আদালতে পেশ করা হয়। সওয়াল জবাবের সময়ে ইডি-র আইনজীবীরা জানিয়েছেন, অর্পিতার নিজস্ব ও তাঁর কোম্পানির অ্যাকাউন্ট থেকে সব মিলিয়ে ৫ কোটিরও বেশি টাকা পেয়ে গিয়েছে। নতুন ৪০ টা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের হদিশ মিলেছে। ইডি জানিয়েছে, অর্পিতার নিজস্ব ৩টি অ্যাকাউন্টে ২.২২ কোটি পাওয়া গিয়েছে।
ইডি-র আইনজীবী বুধবার আদালতে জানান, কোম্পানির অ্যাকাউন্টে ৩ কোটি ১০ লক্ষ টাকা জোর করে পার্থকে দিয়ে জমা দিয়েছিলেন। এটা এসএসসি দুর্নীতির টাকা বলেই মনে করছে ইডি। ১০০ টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা জমা পড়ত। কালো টাকা সাদা করা হত।
ইডি-র আইনজীবী এদিন আদালতে জানান, নতুন করে ৪০ টি অ্যাকাউন্টের হদিশ মিলেছে। আগেই মিলেছিল ৬০ টি অ্যাকাউন্টের হদিশ। অর্থাৎ এখনও পর্যন্ত অর্পিতার ১০০টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের হদিশ পেয়েছেন তদন্তকারীরা।
ইডি জানিয়েছে, জেরায় অর্পিতা স্বীকার করেছেন, বাবলি চট্টোপাধ্যায় ফাউন্ডেশনের নামে পিংলায় একটি স্কুল রয়েছে তাঁর। সেখানে ডামি ডিরেক্টর তিনি। ১৫ কোটি টাকার স্কুল তৈরিতেও রয়েছে এসএসসি দুর্নীতির টাকাই। ইডি আদালতে আরও জানিয়েছে, অর্পিতার ২০১ টি শেল কোম্পানির হদিশ মিলেছে।
তবে অর্পিতা আদালতকে বলেন, “স্যর জানি না কীভাবে এত টাকা এল। আমার বাড়িতে যেদিন ইডি এসেছিল ৩০ ঘণ্টারও বেশি সময় ছিল, আমি জানি না কীভাবে এত টাকা এল।”
এদিনের শুনানির সময়ে অর্পিতা বলেন, “যখন ইডি আধিকারিকরা আমার বাড়িতে আসেন, আমি বাথরুমে ছিলাম। আমি একটা সাধারণ পরিবার থেকে বড় হয়েছি। বাবা নেই মা আছেন।” বিচারক তখন তাঁকে পাল্টা প্রশ্ন করেন, “আপনি কি মায়ের কাছে থাকতেন? টাকাটা কোথা থেকে পাওয়া গেল? ” অর্পিতা বলেন, “আমি জানি না স্যর।” বিচারক পাল্টা প্রশ্ন করেন, “মালিক তো আপনি। আপনার তো জানার দরকার। It is an ironoy।” অর্পিতা পাল্টা বলেন, “আমি সাধারণ মানুষ। আমার বাড়িতে তো ইডি-র যাওয়ার কথা না।” বিচারক তখন বলেন, “এরকম কোথাও বলা নেই।”
সূত্র: টিভি নাইন বাংলা