ভারতের দক্ষিণি চলচ্চিত্রের স্টাইলিশ স্টার আল্লু অর্জুন অভিনীত ‘পুষ্পা’ ছবি করোনাকালেও মন কেড়েছে সিনেপ্রেমীদের। ছবিটি মুক্তির পর থেকে আল্লুর সংলাপ, অভিনয়ের ভঙ্গি ও নাচের স্টেপ অনুকরণে বিভোর চলচ্চিত্র তারকা, ক্রিকেটার, নেটিজেনদের অনেকে। কিন্তু এবার বলতে গেলে পুষ্পার আসল অনুসরণটি করে বসলেন বেঙ্গালুরুর এক চন্দন কাঠ পাচারকারী।
গত বৃহস্পতিবার ঠিক পুষ্পার আল্লু অর্জুনের আদলে একেবারে ফিল্মি কায়দায় রক্তচন্দন কাঠ পাচার করতে গিয়ে ধরা পড়লেন পাচারকারী চক্রের এক সদস্য, যার নাম ইনাইতুল। ‘পুষ্পা’ সিনেমায় আল্লু অর্জুন অভিনীত চরিত্রটি প্রথমে ট্রাকে চন্দন কাঠ বোঝাই করত। তারপর তার উপর দুধের ক্যান চাপিয়ে তা আড়াল করে দিত। এরপর চেকপোস্টে পুলিশকে ফাঁকি দিয়ে এসব কাঠ পাচার করত সে।
ভারতের সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, সিনেমার এই দৃশ্য ইনাইতুলকে অনুপ্রাণিত করে। সে প্রথমে লাল চন্দন কাঠ ট্রাকে তুলেছিলেন। তার উপরে ফল ও সবজির বাক্স বোঝাই করেছিলেন। তার উপর ট্রাকটির গায়ে তিনি ‘কোভিড-১৯'এর প্রয়োজনীয় পণ্য’ লেখা একটি স্টিকারও লেপে দিয়েছিলেন। এভাবে ট্রাক নিয়ে কর্ণাটক-অন্ধ্র সীমান্ত পেরিয়ে মহারাষ্ট্রে যাচ্ছিলেন ইনাইতুল ।
কিন্তু সিনেমার পুষ্পার মতো সফল হতে পারেননি ইনাইতুল। কর্ণাটকে ধোকা দিতে পারলেও মহারাষ্ট্র পুলিশকে পারেননি তিনি। মহারাষ্ট্র সীমান্ত অতিক্রম করে সাংলি জেলার মেরাজ নগরের গান্ধী চকে ধরা পড়েন ইনাইতুল। সাংলির পুলিশ সুপার দীক্ষিত গেদাম জানিয়েছেন, ‘গোপন সূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে, বন দপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে একটি যৌথ অভিযানে ট্রাকসহ ইনাইতুলকে গ্রেফতার করি।
তিনি বলেন, আটকের সময় ট্রাক থেকে প্রায় ১ টন চন্দন কাঠ পাওয়া গেছে, যার মূল্য প্রায় ২.৪৫ কোটি রুপি। ট্রাকটির দাম ১০ লাখ রুপি টাকা। ভারতীয় দণ্ডবিধি এবং বন আইনের বিভিন্ন ধারায় তার ইনাইতুলের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। এই চক্রের সঙ্গে আর কারা কারা জড়িত আছে, তা খুঁজে বের করতে আরও তদন্ত করা হচ্ছে।