ফ্রিডম বাংলা নিউজ

শুক্রবার, নভেম্বর ২২, ২০২৪ |

EN

সাড়ে তিন বছরের জন্য নিষিদ্ধ ব্রেন্ডন টেলর

স্পোর্টস ডেস্ক | আপডেট: শনিবার, জানুয়ারী ২৯, ২০২২

সাড়ে তিন বছরের জন্য নিষিদ্ধ ব্রেন্ডন টেলর

ছবি: সংগৃহীত

সাড়ে তিন বছরের জন্য সব ধরনের ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে জিম্বাবুয়ের সাবেক অধিনায়ক ব্রেন্ডন টেলরকে। শুক্রবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আইসিসি এতথ্য জানিয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জিম্বাবুয়ের এই ক্রিকেটার আইসিসি’র আচরণবিধির মোট চারটি ধারা লঙ্ঘন করেছেন। আইসিসির তদন্তে টেলর দোষী প্রমাণিত হয়েছেন। টেলর অভিযোগ স্বীকার করে নিয়েছেন এবং শাস্তি মেনে নিয়েছেন।

গত ২৪ জানুয়ারি টেলর টুইটারে লিখেছিলেন, ‘গত দু’বছর ধরে একটা বোঝা বয়ে বেড়াচ্ছি। পরিস্থিতি আমাকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে নিয়ে গেছে এবং মানসিকভাবে অত্যন্ত প্রভাব ফেলেছে। সম্প্রতি আমি গোটা ব্যাপারটা বন্ধু-বান্ধব এবং পরিবারকে জানাই এবং তাদের ভালবাসা ও সমর্থনে আজ সবাইকে এই ঘটনাটা জানাতে চাই।’
ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ দিয়ে টেলর লিখেছিলেন, ‘২০১৯-এর অক্টোবরের শেষের দিকে ভারতের এক ব্যবসায়ী আমাকে স্পনসরশিপ এবং জিম্বাবুয়েতে চালু হতে চলা একটি টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতার ব্যাপারে কথা বলতে সে দেশে যেতে বলেন। আমাকে মোটা টাকার প্রস্তাব দেওয়া হয়। একটু ভয়ে ছিলাম। কিন্তু গত ছ’মাস ধরে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট আমাদের একটাও টাকা না দেওয়ায় এটাও মাথায় আসছিল যে, আদৌ জিম্বাবুয়ে আর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলতে পারবে কি না।’

এরপর তিনি লিখেছিলেন, ‘আমি ভারতে যাই। ওদের সঙ্গে আলোচনা হয় এবং ফিরে আসার আগে শেষ রাতে হোটেলে আমার জন্য ওই ব্যবসায়ী এবং তার সহকর্মীরা একটি নৈশভোজের আয়োজন করেন। মদ্যপানের পর তারা সরাসরি আমাকে কোকেন নেওয়ার প্রস্তাব দেন এবং নিজেরাও কোকেন নিতে থাকেন। আমি বোকার মতো কোকেন নিয়ে ফেলেছিলাম। অন্তত লক্ষবার এই ঘটনাটা নিয়ে ভেবেছি এবং কীভাবে আমার সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে সেটা বুঝতে পেরেছি।’

টেলরের দাবি ছিল, তার কোকেন নেওয়ার ছবি তুলে রাখা হয় এবং ব্ল্যাকমেইল করে ম্যাচ গড়াপেটায় যুক্ত হওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হয়। তবে টেলর এটাও জানিয়েছিলেন, তিনি কোনো দিন ম্যাচ গড়াপেটা করেননি এবং ঘটনার কিছু দিন পরেই আইসিসিকে গোটা ব্যাপারটি জানিয়েছিলেন। টেলরের এই দাবি ধোপে টেকেনি। আইসিসিকে দেরি করে জানানোর অপরাধে তাকে নির্বাসনের শাস্তি দিয়েছে সংস্থাটি।

তবে টেলর বলেছিলেন, ‘আমি প্রতারক নই। ক্রিকেট ভালবাসি। তাই আইসিসিকে ঘটনার কথা জানানোর পর আমি বহু সাক্ষাৎকার দিয়েছি এবং বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছি। কারণ আমি সৎ এবং স্বচ্ছ ছিলাম এবং ওদের তদন্তে সব রকম সাহায্য করতে তৈরি ছিলাম।’