করোনার কারণে বিশ্বের অনেক কিছুই বদলে গেছে। করোনার কারণে জুম কিংবা গুগল মিটের মতো মিটিং প্ল্যাটফর্মগুলোই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। সামাজিক দূরত্ব মানতে অফিসের মিটিং থেকে শুরু করে ক্লাস– সবই হচ্ছে এসব অনলাইন প্ল্যাটফর্মে কিন্তু তাই বলে বিয়ে? দূর সেকি হয় নাকি বলে অনেকেই মুখ ঘুরিয়ে নিতে পারেন। সত্যি সত্যিই এই দম্পতি তাদের বিয়ের অনুষ্ঠানটা গুগল মিটেই সারছেন।
ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি বুধবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা সন্দীপন সরকার ও অদিতি দাস আগামী ২৪ জানুয়ারি বিয়ের পিঁড়িতে বসতে যাচ্ছেন। করোনার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় পশ্চিমবঙ্গে বিয়ের মতো সামাজিক জমায়েতে একশ’র বেশি মানুষের উপস্থিতি নিষিদ্ধ হলেও সন্দীপন-অদিতি তাদের বিয়েতে নিমন্ত্রণ করেছেন ৪৫০ জনকে।
বিয়েতে নিমন্ত্রিতরা গুগল মিটে যোগ দেবেন অনুষ্ঠানে। বিয়ের আগের দিন তাদের অনুষ্ঠানের আইডি ও পাসওয়ার্ড দেওয়া হবে। গুগল মিটেই দেখবেন বিয়ের সরাসরি সম্প্রচার। কিন্তু নিয়ন্ত্রণ বাড়িতে ভূরিভোজ না হলে কী চলে? গুগল মিটে তো বিয়েবাড়ির খাবার খাওয়া যাবে না। তবে সেই ব্যবস্থাও করে রেখেছেন সন্দীপন-অদিতি। অতিথিদের ঠিকানায় ফুড ডেলিভারির মাধ্যমেই খাবার পৌঁছে দেবেন তারা।
ব্যস, বিয়েবাড়ির ষোলোকলা পূর্ণ। তবে বাঙালির বিয়েবাড়ির খোশগল্প আর সাজগোজই যা বাদ থাকবে সন্দীপন-অদিতির বিয়েতে।
অবশ্য এভাবে অনলাইনে বিয়ের খবর ভারতে এই প্রথম নয়। তামিলনাড়ুর দিনেশ এস পি ও জনগানন্দিনি রামাস্বামী ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম রোববার বিয়ে করতে যাচ্ছেন মেটাভার্সে। বিয়ে হয়ে যাবার পর তারা তাদের ল্যাপটপ খুলবেন। তারপর একটি ভার্চুয়াল ভেন্যুতে তারা প্রবেশ করবেন।
হ্যারি পটার প্রেমী এই যুগলের থিম হলো হগওয়ার্টস। এই ভার্চুয়াল থিমে ধীরে ধীরে বিভিন্ন জায়গা থেকে যুক্ত হবেন তাদের বন্ধু ও অন্যান্য পরিজনরা। নবদম্পতিকে গুগল পে কিংবা ক্রিপ্টো কারেন্সিতে উপহারও দিতে পারবেন তারা।