শিরোপা ধরে রাখার লক্ষ্যে গিয়ে যুব বিশ্বকাপে যাত্রাটা শুভ হয়নি বাংলাদেশের যুবাদের। নিজেদের প্রথম ম্যাচে ইংল্যান্ডের কাছে বাজেভাবে হেরে বিশ্বকাপে যাত্রা শুরু করে বাংলাদেশ। সেই ম্যাচের ভুলগুলো দূর করে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে আজ কানাডার বিপক্ষে মাঠে নামছে বিশ্বজয়ী যুবারা। বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭টায় সেন্ট কিটসের ওয়ার্নার পার্কে মাঠে নামবে রাকিবুলরা। অপেক্ষাকৃত দুর্বল প্রতিপক্ষ কানাডার বিপক্ষে জয় ছাড়া অন্য কিছুই ভাবছে না বাংলাদেশ। ইতিমধ্যেই আরব আমিরাত আর ইংল্যান্ডের কাছে হেরে আসর থেকে ছিটকে গিয়েছে কানাডা।
প্রথম ম্যাচের ভুলগুলো শুধরে দ্বিতীয় ম্যাচে মাঠে নামবে যুব টাইগাররা। বিশেষ করে কানাডার বিপক্ষে জয় পেতে হলে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে বেশ মনোযোগ দিতে হবে। প্রথম ম্যাচে ইংলিশদের বিপক্ষে বোলিং এবং ফিল্ডিং খুব একটা খারাপ হয়নি। মূলত ব্যাটারদের চরম ব্যর্থতাই সেই ম্যাচে বাংলাদেশের পরাজয়ের মূল কারণ। কানাডার বিপক্ষে মাঠে নামার আগে গত কয়েকদিনের অনুশীলনে তাই ক্রিকেটাররাও বাড়তি মনোযোগ দিয়েছে ব্যাটিংয়ে। ব্যাটাররা এই ম্যাচে বড় স্কোর গড়ে দিতে পারলে বাকি কাজটুকু সহজভাবে করার সামর্থ্য রয়েছে বাংলাদেশের বোলারদের।
ইতিমধ্যেই টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যাওয়া কানাডা চাইবে এ ম্যাচে অঘটন ঘটাতে। যদিও সেটি প্রায় অসম্ভবই বলা চলে। কারণ, বাংলাদেশ নিজেদের প্রথম ম্যাচে হারলেও সেটি ছিল বড় প্রতিপক্ষের বিপক্ষে। কানাডার কাছে বাংলাদেশ দলের তাই হারার সম্ভাবনা নেই বলাই যায়। যদিও ক্রিকেটে অসম্ভব বলে কিছু নেই, আর সেই আশাতেই বাংলাদেশের বিপক্ষে জয়ের জন্য মাঠে নামবে তারা। এই ম্যাচে কানাডাকে কিছু করে দেখাতে হলে বাংলাদেশকে যত কম রানে পারা যায় আটকাতে হবে। বাস্তবিক অর্থে যে কাজটি প্রায় অসম্ভবই বলা চলে।
কানাডার বিপক্ষে বাংলাদেশের ব্যাটাররা যে জ্বলে উঠবে সে ইঙ্গিত দিয়েছে বাংলাদেশের অধিনায়ক রাকিবুলও। তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, কানাডার বিপক্ষে জয় ছাড়া কিছুই ভাবছে না তার দল। রাকিবুল বলেন, ‘পরের ম্যাচে শক্তিশালী ব্যাটিং নিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে চাই। আমাদের মূল ব্যাটাররা পারফর্ম করতে পারলে পরের ম্যাচে অবশ্যই ঘুরে দাঁড়াব আমরা।’
প্রথম ম্যাচে হারলেও এখনও আসরে বেশ ভালোই সম্ভাবনা রয়েছে বাংলাদেশের। আপাতত, কানাডার বিপক্ষে ম্যাচ জিতে বাংলাদেশের লক্ষ্য হওয়া উচিৎ এর পরের ম্যাচে জয় লাভ করে গ্রুপ পর্ব পার হওয়া। এভাবে ম্যাচ ধরে খেললে এবারের আসরেও ভালো কিছু করার সম্ভব যুব টাইগারদের। যদিও করোনাভাইরাসের কারণে গতবারের মতো প্রস্তুতি নেয়া সম্ভব হয়নি। তবে এই সমস্যা শুধু বাংলাদেশ দলের জন্যই নয়, সকল দলই তাদের স্বাভাবিক প্রস্তুতি নিতে পারে নি করোনাভাইরাসের কারণে। ফলে, এই দিক থেকে সব দলগুলোই প্রায় সমান বলা চলে।
নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে বড় জয় দিয়ে বাংলাদেশ দল নিজেদের চলতি বিশ্বকাপ যাত্রার প্রথম জয় তুলে নিবে সেটাই প্রত্যাশা ক্রিকেটপ্রেমীদের। একই সাথে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা এবারও চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্যই শেষ পর্যন্ত লড়ে যাবে বলে বিশ্বাস ক্রিকেট ভক্তদের।