টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের গ্রুপপর্ব পেরিয়ে সুপার এইটে খেলছে বাংলাদেশ। যেখানে অবশ্য ব্যাটসম্যানদের চেয়ে বোলারদেরই অবদানটা বেশি। তাদের কারণেই যে অল্প পুঁজি নিতেও তিনটি জয় তুলে সুপার এইটে উঠতে পেরেছে বাংলাদেশ। তাই সুপার এইটে আরও বেশি প্রতিযোগিতা মূলক ক্রিকেটে ম্যাচ জিততে বোলারদের সঙ্গে দায়িত্বটা নিতে হতো ব্যাটারদের কেউ।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সুপার এইটের প্রথম ম্যাচে সেই কাজটিই করতে পারেনি বাংলাদেশের ব্যাটাররা। অজিদের বিপক্ষে তুলতে পেরেছে মোটে ১৪০ রান। তাও ৮ উইকেট খুইয়ে। ব্যাটারদের এমন রান খরার কারণ জানতে চাওয়া হয়েছিল ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে আসা বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল শান্তর কাছে। তিনি অবশ্য এ ব্যাপারে বলতে পারলেন না কিছুই। ব্যাটারদের নিয়ে হতাশা ঝড়ে পড়ল তার কণ্ঠেও।
অজি ব্যাটাররা যেই উইকেটে ব্যাট হাতে তাণ্ডব চালালেন সেখানে কেন ব্যর্থ হলো বাংলাদেশি ব্যাটাররা, তার কারণ জানতে চাইলে শান্ত বলেন, ‘কেন পারছি না, সেটা বলা মুশকিল। আমার কাছে মনে হয়, দলের সবার সেই (বড় ইনিংস খেলার) সামর্থ্য আছে। অতীতে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন সময় করেও দেখিয়েছে। কিন্তু (বিশ্বকাপে) কেন হচ্ছে না, এই প্রশ্নের উত্তর আমার কাছেও নেই। সবাইকে তার স্বাভাবিক খেলাটা খেলার স্বাধীনতাও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কোনোভাবেই হচ্ছে না।’
সুপার এইটের প্রথম ম্যাচ হারায় সেমিতে খেলতে পরের দুই ম্যাচে ভারত ও আফগানিস্তানকে হারাতেই হবে বাংলাদেশকে। এমন যখন সমীকরণ তখন বাংলাদেশের দুশ্চিন্তার কারণ ব্যাটারদের অফফর্ম। যা নিয়ে শান্ত বলেন, ‘দুটি ম্যাচ আমাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। সেখান থেকে আমাদের অনেক কিছু পাওয়ার আছে। দুটি ম্যাচই জিতলে পারলে আমরা আরও ভালো অবস্থানে যাব। অবশ্যই প্রত্যেক ম্যাচই আমরা জেতার জন্য খেলব। দলের কাছে আমার চাওয়া, সবাই যেন স্বাধীনভাবে খেলে। কিন্তু এখন যেভাবে ব্যাট করছি, তা আবার করলে জয় পাওয়া খুব কঠিন।’
ব্যাটিংয়ের জন্য এই উইকেটকে আদর্শই মনে হয়েছে অধিনায়ক শান্তর কাছে। তবে স্কোরবোর্ডে যথেষ্ট রান জমা করতে পারেননি ব্যাটারা। যাকে ম্যাচ হারের কারণ হিসেবে দেখছেন শান্ত। বলেন, ‘এখানকার কন্ডিশন একেবারেই আলাদা। আগের ম্যাচে (নেপালের বিপক্ষে) বল ঘুরেছে। কিন্তু আজকের উইকেট ফ্ল্যাট ছিল। ব্যাটিংয়ের জন্য বেশ ভালো ছিল। আমরা আগের চেয়ে ভালো ব্যাটিং করেছি ঠিকই। তবে ম্যাচ জিততে আমাদের ১৬০ থেকে ১৭০ রান করা উচিত ছিল।’