টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ে পাকিস্তানের অবস্থান ৬ নম্বরে। এই ফরম্যাটে একবার বিশ্বকাপ জয়ের কীর্তিও আছে দলটির। তাছাড়া সবশেষ আসরেও ফাইনাল খেলেছে পাকিস্তান। আর সেই দলটিকেই কিনা এবার বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই হারিয়ে দিয়েছে আয়োজক হিসেবে খেলার সুযোগ পাওয়া র্যাঙ্কিংয়ের ১৮ নম্বর দল যুক্তরাষ্ট্র।
পাকিস্তানের বিপক্ষে আইসিসির সহযোগী দেশ যুক্তরাষ্ট্রের এমন জয় অবাক করেছে গোটা ক্রিকেট বিশ্বকে। বলা হচ্ছে বিশ্বকাপের ইতিহাসে এটাই সবচেয়ে বড় অঘটন। আর এমন অঘটনের কারণ হিসেবে পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজমের ধীর গতির ব্যাটিংকে দায়ী করেছেন ভারতের সাবেক ক্রিকেটার ইরফান পাঠান।
ম্যাচে ইনিংসের শুরুতে নেমে ইনিংসের ১৬ তম ওভারে আউট হয়েছেন পাকিস্তান বাবর আজম। আর এই সময়ে তার ব্যাট থেকে এসেছে ৪৩ বলে ৪৪ রান। যেখানে ২টি ছয় ও ৩ টি চারের মার রয়েছে। স্ট্রাইক রেট কোনো রকমে একশ পেরিয়েছে। তবে সবচেয়ে বড় সমস্যা যেটি হয়েছে দলের যখন ইফতেখার আহমেদ ছাড়া কোনো স্বীকৃত ব্যাটার নেই তখন সাজঘরে ফিরেছেন বাবর।
অথচ, তার দায়িত্ব ছিল, শুরুতে অতিরিক্ত ডট বল খেলা শেষ দিকে চালিয়ে খেলে পুষিয়ে দেওয়া। একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রকে কঠিন লক্ষ্য ছুড়ে দেওয়া। যা করতে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছেন বাবর। দিনশেষে তাই পাকিস্তানের এই ভরাডুবির কারণ হিসেবে অধিনায়ক বাবরকেই দায়ী করেছেন ইরফান পাঠান।
তিনি বলেন, ‘এমন ব্যাটিং সহায়ক কন্ডিশনে সেট হওয়া অবস্থায় একজন অধিনায়ক হিসেবে আপনি যদি ৪০ টির বেশি বল খেলে ১০০ স্ট্রাইক রেটের ইনিংস খেলতে থাকেন তবে তা ভালো দেখায় না। এর মানে এটাই, আপনি আপনার দলকে সাহায্য করছেন না।’
অধিনায়ক বাবর অবশ্য ম্যাচ হারের দায়টা চাপিয়েছেন মূলত দলের বোলারদের ওপরই। তার মতে, ‘প্রথম ৬ ওভারে আমরা সেভাবে মানিয়ে নিতে পারিনি। একটার পর একটা উইকেট যাওয়াতে আমরা পিছিয়ে পড়ছিলাম। ব্যাটার হিসেবে জুটি গড়তে আপনাকে এগিয়ে আসতে হবে। আমরা বোলিংয়ে প্রথম ৬ ওভার খারাপ করেছি। আমাদের স্পিনাররাও উইকেট নিতে পারেনি।’
আগামী ৯ জুন রাত ৮ টা ৩০ মিনিটে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের বিপক্ষে গ্রুপপর্বে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে মাঠে নামবে পাকিস্তান। প্রথম ম্যাচ হেরে যাওয়ায় এখন দ্বিতীয় রাউন্ডে যেতে সেই ম্যাচে জয়ের বিকল্প নেই বাবর আজমের দলের সামনে। কেননা, এই ম্যাচে হারলে ঝুলে যেতে পারে বাবর আজমদের দ্বিতীয় রাউন্ডে খেলা। সেটি এড়াতেই এবার লড়তে হবে বাবরদের।