ফ্রিডম বাংলা নিউজ

বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ২১, ২০২৪ |

EN

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের যত রেকর্ড

স্পোর্টস ডেস্ক | আপডেট: রবিবার, জুন ২, ২০২৪

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের যত রেকর্ড
আইসিসি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০২৪-এর নবম আসর শুরু হলো আজ। উদ্বোধনী ম্যাচে স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্রের মুখোমুখি হয় কানাডা।  প্রথম ম্যাচে কানাডাকে ৭ উইকেটে হারাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। আজকের ম্যাচে যুক্তরাষ্ট্রের  অ্যারন জোন্স ৪০ বলে ১০ ছক্কা ও ৪ চারে ৯৪ রান করে অপরাজিত থাকেন।

বর্তমানে ক্রিকেট বিশ্বে এত এত সিরিজ চললেও সবার নজর এখন টি-টোয়েন্টিতেই।  এই উত্তাপের আঁচ পেতে চলছে যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দুদেশ মিলে আয়োজন করেছে আইসিসির টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। আগে দেখে নেওয়া যাক এই ফরম্যাটের যত রেকর্ড—

সবচেয়ে বেশি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলা ক্রিকেটার কে?

সবচেয়ে বেশি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলার কথা আসলে আসে বাংলাদেশের নাম। কারণ বাংলাদেশি তারকা সাকিব আল হাসান এই পর্যন্ত হওয়া আট বিশ্বকাপের সবগুলোতেই খেলেছেন। এই কীর্তিতে সাকিবের পাশে আছেন ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মা। তিনিও ২০০৭ সাল থেকে এই পর্যন্ত আটটি খেলেছেন। আসন্ন বিশ্বকাপ দুই তারকার নবম বিশ্বকাপ হতে যাচ্ছে।

সবচেয়ে বেশি রান কার ?

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি রান করা ক্রিকেটারের নাম বিরাট কোহলি। এখন পর্যন্ত ক্রিকেটের এই ফরম্যাটের বিশ্বকাপে তিনি করেছেন, এক হাজার ১৪১ রান। আসন্ন বিশ্বকাপেও খেলছেন তিনি। নিঃসন্দেহে এই সংখ্যাটাকে এবার আরও বাড়ি নেবেন ভারতীয় তারকা। কোহলির পর এই ফরম্যাটের বিশ্বকাপে বেশি রান করেছেন মাহেলা জয়াবর্ধনে  ক্রিস গেইল ও রোহিত শর্মা।

সবচেয়ে বেশি হাফসেঞ্চুরি কার?

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশিবার হাফসেঞ্চুরি হাঁকানো ক্রিকেটারের নামও বিরাট কোহলি। তিনি এখন পর্যন্ত ১৪টি হাফসেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন। ৯টি ফিফটি হাঁকিয়ে দুইয়ে আছেন ক্রিস গেইল। তিনে থাকার রোহিতের ফিফটিও ৯টি।

সবচেয়ে বেশি উইকেট কার ?

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি উইকেট নেওয়ার তালিকাতেও আসে বাংলাদেশের নাম। এই ফরম্যাটের বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি উইকেট নিয়েছেন সাকিব আল হাসান। ৮ বিশ্বকাপ খেলে ৪৭ টি উইকেট নিয়েছেন দেশসেরা অলরাউন্ডার। এবার এই সংখ্যাটা আরও বাড়িয়ে নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন বাংলাদেশি তারকা। দ্বিতীয় স্থানে আছেন সাবেক পাকিস্তানি অধিনায়ক শহীদ আফ্রিদি (৩৯) এবং লাসিথ মালিঙ্কা (৩৮)।

সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস কার ?

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংসের রেকর্ড নিউজিল্যান্ডে ব্র্যান্ডন ম্যাককালামের। ২০১২ সালে পাল্লেকেলেতে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৫৮ বলে ১২৩ রান করেছিলেন তিনি। যা বিশ্বকাপের ইতিহাসে সেরা হয়ে আছে। ২০০৭ সালের আসরে ৫৭ বলে ১১৭ রান করে দ্বিতীয় স্থানে আছেন ক্যারিবীয় তারকা ক্রিস গেইল।

সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ কাদের?

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ হলো শ্রীলঙ্কার। ২০০৭ সালে প্রথম বিশ্বকাপে কেনিয়ার বিপক্ষে ২৬০ রান করেছে লঙ্কানরা। যা এখন পর্যন্ত সেরা হয়ে আছে। ২০১৬ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ২৩০ রান করে দ্বিতীয় স্থানে আছে ইংল্যান্ড।

সর্বনিম্ন দলীয় সংগ্রহ কাদের?

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সর্বনিন্ম দলীয় সংগ্রহ নেদারল্যান্ডসের। ২০১৪ সালে বাংলাদেশ বিশ্বকাপে চট্টগ্রামের মাটিতে ৩৯ রানেই থেমে যায় ডাচরা। যেখানে প্রতিপক্ষ ছিল শ্রীলঙ্কা। ৪৪ রানে গুটিয়ে দ্বিতীয় স্থানেও আছে নেদারল্যান্ডসই।

দ্রুততম সেঞ্চুরি কার ?

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ডে স্বাভাবিক ভাবে নাম আসে ক্রিস গেইলের। আসলেও তাই। তিনিই দ্রুততম সেঞ্চুরির মালিক। ২০১৬ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৪৭ বলে করা তার সেঞ্চুরি বিশ্বকাপের সবচেয়ে দ্রুততম শতক। এই তালিকায় দ্বিতীয়টিও তার। দ্বিতীয়টি আসে ৫০ বলে।

সর্বোচ্চ ছক্কা কার ?

সবচেয়ে দ্রুততম সেঞ্চুরিয়ান গেইলের অধীনে আছে ছক্কার রেকর্ডও। বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ ৬৩টি ছক্কা মেরেছেন তিনি। যার ধারে কাছেও কেউ নেই। ৩৩ ছক্কা নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছেন রোহিত শর্মা।

সবচেয়ে বেশি ডাক কার?

ডাক মারায় শহীদ আফ্রিদিকে নিয়ে কম কথা হয়নি। নানা সময়েই এটা নিয়ে ট্রল হয়েছেন তিনি। বিশ্বকাপেও তার ডাকের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাঁচবার ডাক মেরেছেন। সমান পাঁচবার ডাকমেরে দুইয়ে আছেন শ্রীলঙ্কার দিলশান।

সেরা বোলিং ফিগার কার?

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সবচেয়ে সেরা বোলিং ফিগার হলো শ্রীলঙ্কার এক সময়ের রহস্য স্পিনার অজন্তা মেন্ডিসের। ২০১২ সালের বিশ্বকাপে ৮ রান দিয়ে পেয়েছিলেন ৬ উইকেট। যেটা রেকর্ড হয়ে আছে।

সর্বোচ্চ ডিসমিসাল কার?

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সবচেয়ে বেশি ডিসমিসালের মালিক ভারতীয় তারকা মহেন্দ্র সিং ধোনির। উইকেটকিপার হিসেবে সর্বোচ্চ ৩২ ডিসমিসাল নিয়েছেন তিনি। ৩০ ডিসমিসাল নিয়ে তালিকায় দুইয়ে আছেন পাকিস্তানের কামরান আকমল।