মোস্তাফিজের বোলিং তোপে ১০৪ রানেই ইনিংস গুটাল যুক্তরাষ্ট্র। এই কাটার মাস্টার একের পর এক উইকেট তুলে নিলে চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়া অসম্ভব হয়ে যায় স্বাগিতকদের।
মোস্তাফিজ মাত্র ৪ ওভার বোলিং করে এক মেইডেনসহ মাত্র ১০ রান খরচ করে ৬ উইকেট শিকার করেন। ক্রিকেট ক্যারিয়ারে এটাই তার সেরা বোলিং ফিগার।
এর আগে টি-টোয়েন্টিতে ২২ রানে ৫ উইকেট শিকার করেছিলেন এই তারকা পেসার। ওয়ানডেতে তার সেরা বোলিং ফিগার ৪৩ রানে ৬ উইকেট। আর টেস্টে সেরা বোলিং ৩৭ রানে ৪ উইকেট।
তবে টি-টোয়েন্টিতে দেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে এমন অবিশ্বাস্য বোলিং করলেন মোস্তাফিজ। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সেরা বোলিং ফিগার মালয়েশিয়ান পেসার শ্যাজরুল ইদ্রুসের। তিনি চীনের বিপক্ষে গত বছর মাত্র ৪ ওভারে ৮ রানে ৭ উইকেট শিকার করে এই রেকর্ড গড়েন।
আজ শনিবার তিন ম্যাচ সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে উড়ন্ত সূচনা করে যুক্তরাষ্ট্র। উদ্বোধনীতে ব্যাটিং তাণ্ডব চালিয়ে ৪.৫ ওভারে ৪৬ রানের জুটি গড়েন দুই ওপেনার অ্যান্ড্রিস গাউস ও শায়ান জাহাঙ্গীর।
এরপর মাত্র ১৪ রানের ব্যবধানে ৫ উইকেট হারিয়ে কোণঠাসা হয়ে যায় যুক্তরাষ্ট্র। বিনা উইকেটে ৪৬ রান করা যুক্তরাষ্ট্র এরপর ৫৮ রানের ব্যবধানে হারায় ৯ উইকেট। একের পর এক উইকেট পতনের কারণে ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১০৪ রানের বেশি করতে পারেনি স্বাগতিকরা।
যুক্তরাষ্ট্রের ওপেনিং জুটি ভাঙেন সাকিব আল হাসান। তার বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন অ্যান্ড্রিস গাউস। সাজঘরে ফেরার আগে মাত্র ১৫ বলে ৫টি চার আর এক ছক্কায় ২৭ রান করেন তিনি।
এরপর যুক্তরাষ্ট্র শিবিরে জোড়া আঘাত হানেন কাটার মাস্টার মোস্তাফিজুর রহমান। তার বলে তানজিম হাসান সাকিবের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন শায়ান জাহাঙ্গীর। তিনি ২০ বলে দুই চার আর এক ছক্কায় ১৮ রান করে ফেরেন। তিন নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নামা নীতিশ কুমারকে আউট করেন মোস্তাফিজ। তিনি ৯ বলে ৩ রানে ফেরেন।
অধিনায়ক অ্যারন জোন্সকে আউট করেন তানজিম হাসান সাকিব। মিলিন্দ কুমারকে আউট করেন লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন।
এরপর যুক্তরাষ্ট্র শিবিরে একের পর এক আঘাত হানেন মোস্তাফিজ। তার বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন শ্যাডলি ভ্যান শাল্কউইক, জসদীপ সিং ও কোরি অ্যান্ডারসন। নিসরাগ প্যাটেলকেও আউট করেন মোস্তাফিজ।
জাতীয় দলের এই তাকরা পেসার ৪ ওভারে এক মেইডেনসহ মাত্র ১০ রানে ৬ উইকেট শিকার করেন।