যুক্তরাষ্ট্রের মতো আইসিসির সহযোগী সদস্য দলের বিপক্ষে চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়তে পারেনি বাংলাদেশ। তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম খেলায় ৬ উইকেট হারিয়ে ২০ ওভারে ১৫৩ রান করে টাইগাররা।
দলের হয়ে ৪৭ বলে চারটি চার আর ২টি ছক্কার সাহায্যে সর্বোচ্চ ৫৮ রান করেন ফেরেন তাওহিদ হৃদয়। ২২ বলে দুই চার আর এক ছক্কায় ৩১ রান করে ফেরেন সাবেক অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ৫ বলে ৯ রানে অপরাজিত থাকেন জাকের আলি।
মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের হিউস্টনে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৩৪ রান করা বাংলাদেশ। এরপর কোনো রান যোগ করার আগেই দুই ওপেনার লিটন কুমার দাস ও সৌম্য সরকারের উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায়। এরপর আসা-যাওয়ার মিছিলে অংশ নেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ও সাবেক অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।
একটা পর্যায়ে ১১.২ ওভারে ৬৮ রানে ৪ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। পঞ্চম উইকেটে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে সঙ্গে নিয়ে ৪৭ বলে ৬৭ রানের জুটি গড়েন তাওহিদ হৃদয়। এই জুটিতে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ফিফটি হাঁকান হৃদয়। তাদের দায়িত্বশীল জুটির কল্যাণে দেড়শ ছাড়িয়ে যায় বাংলাদেশ।
দলের হয়ে সৌম্য সরকার ১৩ বলে ২০ রান করে ফেরেন। লিটন দাস আউট হন ১৫ বলে করেন ১৪ রান। অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ফেরেন ১১ বলে মাত্র ৩ রান করে। সাকিব আল হাসান ফেরেন ১২ বলে মাত্র ৬ রানে।
বিশ্বকাপের আগে যুক্তরাষ্ট্রের মতো আইসিসির সহযোগী সদস্য দলের সঙ্গেও রান খরায় লিটন-সৌম্য-সাকিব-শান্তরা।
বাংলাদেশ: নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), লিটন কুমার দাস, সৌম্য সরকার, সাকিব আল হাসান, তাওহিদ হোসেন হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, জাকির আলি অনিক, মেহেদি হাসান, রিশাদ হোসেন, মোস্তাফিজুর রহমান ও শরিফুল ইসলাম।
যুক্তরাষ্ট্র: মোনাঙ্ক প্যাটেল (অধিনায়ক), অ্যারন জোন্স, আন্দ্রিস গুস, কোরি অ্যান্ডারসন, আলী খান, হারমিত সিং, জেসি সিং, নিতিশ কুমার, নোশতুশ কেনিজিগে, সৌরভ নেত্রবালকার ও স্টিভেন টেলর।