বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের এবারের আসরে সবচেয়ে প্রবীণ তারকাদের নিয়ে দল গড়েছিল ফরচুন বরিশাল। তাই জুটেছিল ‘বুড়োদের দল’ তকমা। তবে সেই বুড়োরা হতাশ করেনি। প্রথমবারের মতো বিপিএলের শিরোপা উপহার দিয়েছে বরিশালবাসীকে। জমজমাট ফাইনালে চারবারের চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে ৬ বল হাতে রেখে ৬ উইকেটে হারিয়ে শিরোপা উল্লাসে মেতে ওঠে বরিশাল।
তামিম ইকবাল, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মুশফিকুর রহিম, জেমস ফুলার, ডেভিড মিলারের মতো বয়স্ক সব ক্রিকেটার বরিশালের একাদশে। সহসা দেখলে যে কেউই বলতে পারবে এরা অনেক সিনিয়র ক্রিকেটার। তাই এই দলের নামই হয়েছিল ‘বুড়োদের দল’। কিন্তু সেই বুড়োরাই তামিমের নেতৃত্বে শিরোপা দিলো বরিশালকে।
শুক্রবার (১ মার্চ) সন্ধ্যায় মিরপুরের শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে দশম আসরের ফাইনালে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৫৪ রান তোলে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। জবাবে খেলতে নেমে ১৯ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে শিরোপা ঘরে তোলে বরিশাল।
কুমিল্লার ইনিংসে দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৮ রান করেন মহিদুল ইসলাম অঙ্কন। আর বরিশালের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৬ রান এসেছে কাইল মেয়ার্সের ব্যাট থেকে। তাছাড়া ৩৯ রান করেছেন তামিম ইকবাল।
শিরোপা জয়ের ১৫৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ওপেনার তামিম ইকবাল ও মেহেদি হাসান মিরাজের ব্যাটে বেশ এগিয়ে যায়। উদ্বোধনী জুটিতে ৮ ওভারে ৭৬ রান যোগ করে দলকে শক্ত ভিত গড়ে দেন তারা। তামিমের ফেরার পর দ্রুত ফেরেন মিরাজও। তামিম ৩৯ ও মিরাজ ২৯ রান করেন।
পরে বরিশালের হাল ধরেন মুশফিক ও মেয়ার্স। তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৫৯ রানে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয় বরিশাল। মেয়ার্স ৩০ বলে ৪৬ রানে দলকে আশা জাগিয়ে ফেরেন। মুশফিকও ফিরে যান, কিন্তু বিপদে পড়েনি দল। বাকি কাজটা সহজেই সেরেছেন মাহমুদউল্লাহ ও ডেভিড মিলার। মাহমুদউল্লাহ অপরাজিত ছিলেন ৭ রান করে। আর মিলারকে ৮ রান করে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন।
এ আগে শুরুতে ফিল্ডিং নিয়ে কুমিল্লার ব্যাটারদের চাপে ফেলার চেষ্টা করেন বরিশালের বোলাররা। সুনিল নারিনকে ওপেনিংয়ে নামিয়েও পরিকল্পনায় সফল হতে পারেনি ভিক্টোরিয়ান্সরা। অধিনায়ক লিটন দাসের সাথে জুটিতে বেশিক্ষন টিকতে পারেননি তাওহিদ হৃদয়ও। ১৫ রানে তাকে সাজঘরে পাঠান জেমস ফুলার। জনসন চার্লসকে নিয়ে লিটনের লড়াইও থামিয়ে দেন তিনি। ১৬ করেন লিটন।
মাহিদুল অংকন একপ্রান্তে লড়াই করতে থাকেন। মাত্র ৩ রানে মইন আলি রান আউটের ফাঁদে পড়েন। ৭৯ রানে ৫ উইকেট হারায় কুমিল্লা। পরে ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে ৩৬ রান করেন জাকের আলী আর অঙ্কন। ইনিংসের সর্বোচ্চ ৩৮ রান করে অঙ্কন ফিরে গেলে জাকের আলীর সঙ্গে জুটি বাধেন রাসেল।
সপ্তম উইকেট জুটিতে ৩৯ রান করেন এ দুজন। জাকের আলী ২০ বলে ২৩ ও রাসেল ১৪ বলে ২৭ রান করেন। বরিশালের হয়ে জেমস ফুলার দুটি, কাইলি মেয়ার্স, সাইফউদ্দীন ও ওবেদ ম্যাককয় একটি করে উইকেট নেন।