তামিম ইকবালের ফিফটিতে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে হারিয়ে শেষ দল হিসেবে প্লে-অফ নিশ্চিত করেছে ফরচুন বরিশাল। কুমিল্লার ১৪০ রানের জবাবে ব্যাট করতে ৬ উইকেট আর ২ বল বাকি থাকতেই লক্ষ্যে পৌঁছে গেছে তামিমের দল। এ জয়ে কাগজ-কলমের সব সমীকরণের রফাদফা করেছে রবিশাল।
এর আগে প্লে-অফ নিশ্চিত করেছে রংপুর রাইডার্স, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ও চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। শেষ দল হিসেবে বিদায় নিশ্চিত হয়েছে খুলনা টাইগার্সের।
শুক্রবার ঢাকার শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে কুমিল্লার মাঝারি আকারের পুঁজির জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই আহমেদ শেহজাদের উইকেট হারালেও তামিম ও কাইল মায়ার্সের ব্যাটে দারুণভাবে সামনে এগিয়ে যায় বরিশাল। এই জুটিতে ৫৭ বলে ৬৪ রান তোলেন তারা।
মায়ার্স ২৫ বলে ২৫ রান করে মুশফিক হাসানের বলে ফলোথ্রু করে আউট হয়ে গেলে মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে ৩৯ রানের জুটি করেন তামিম। ৪০ বলে ফিফটি হাঁকান বরিশাল অধিনায়ক। শেষ পর্যন্ত তামিমের ব্যাট থেকে ৪৮ বলে ৬৬ রান।
এছাড়া মুশফিক ২৪ বলে ১৭, মাহমুদুল্লাহ ১১ বলে ১২ ও সৌম্য সরকার ৩ বলে ৬ রান করেন। এতে ৬ উইকেটের জয় পায় বরিশাল।
এর আগে জাকের আলির শেষের ঝড়ে ৮ উইকেটে ১৪০ রান তুলেছে কুমিল্লা। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে কিছুটা ধীরগতিতে রান তুলে পাওয়ার প্লে শেষ করেছে লিটন দাসের দল। এই ৬ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ৩৭ রান করে তারা।
এদিন কুমিল্লার হয়ে ওপেনিংয়ে লিটনের সঙ্গে নামেন সুনিল নারিন। চতুর্থ ওভারের শেষ বলে নারিন ফেরেন ১৮ বলে ১৬ রান করে। সপ্তম ওভারের দ্বিতীয় বলে তাইজুল ইসলামের বলে বোল্ড হন লিটন। ১২ বলে ১২ রান করেন কুমিল্লার অধিনায়ক।
চতুর্থ উইকেটে তাওহিদ হৃদয় ও মঈন আলির ৩০ বলে ৩৬ রানের জুটিতে কিছুটা সামনের দিকে এগিয়ে যায় কুমিল্লার স্কোরকার্ড। ২৬ বলে ২৫ রান করে তাইজুলের বলে ওভেদ ম্যাকয়ের হাতে ক্যাচ হন তাওহিদ। ২২ বলে ২৩ রান করেন মঈন। আকিফ জাভেদের বলে সৌম্য সরকারের হাতে ধরা পড়েন তিনি।
চাপের মুখে এদিন জ্বলে উঠেনি আন্দ্রে রাসেলের ব্যাটও। ১১ বলে ১৪ রান করে তাইজুলের বলে বোল্ড হন তিনি। শেষ দ্রুতগতিতে রান তুলে কুমিল্লাকে ১৪০ রানে নিয়ে ঠেকান জাকের আলি। ১৬ বলে ৩৮ রানের ইনিংস খেলেন জাকের।