শুরুতে খুলনা টাইগার্স দাপট দেখালেও শেষে এসে নিজেদের অবস্থান ধরে রাখতে পারেনি। কাগজ-কলমে টিকে থাকলেও গতকাল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে ৬৫ রানের হার খুলনার বিদায়ঘণ্টা বেজে গেছে। শেষ চার নিশ্চিত রংপুর রাইডার্স, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ও চট্টগ্রামের। আর সেই দৌড়ে এগিয়ে আছে ফরচুন বরিশাল।
আনুষ্ঠানিকভাবে না হলেও দলটি এক পা দিয়ে রেখেছে বিপিএলের পরের পর্বে। এই অবস্থান থেকে বরিশালকে টপকে শেষ চারে যাওয়া খুলনার জন্য রীতিমতো অসম্ভব ব্যাপার।
চট্টগ্রাম পর্ব শেষে মিরপুরের প্রথম ম্যাচে শুক্রবার মাঠে নামবে বরিশাল ও কুমিল্লা। এই ম্যাচে বরিশাল জয় পেলে আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ চার নিশ্চিত হবে দলটির। তখন দিনের অন্য ম্যাচ খুলনা-সিলেটের লড়াই কেবল আনুষ্ঠানিকতার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে।
তবে প্রথম ম্যাচে বরিশাল হারলে এবং দ্বিতীয় ম্যাচে খুলনা জিতলে তখন দুদলেরেই পয়েন্ট ১২ হবে। তাতে নেট রানরেটে এগিয়ে থাকা দল পরের পর্বে যাবে। যেখানে অনেকটাই এগিয়ে আছে বরিশাল। তাতে বলা যায়, বড় কোনো অঘটন না ঘটলে এলিমিনেটর পর্বে খেলা হচ্ছে বরিশালের।
চলতি বিপিএলে সবার আগে শেষ চার নিশ্চিত করেছে রংপুর। এর পর নাম লিখিয়েছে কুমিল্লা। তৃতীয় দল হিসেবে শেষ চারে গেছে চট্টগ্রাম। রংপুর-কুমিল্লার অবস্থান এক বা দুইয়ে থাকবে। অর্থাৎ দুটি দলই প্রথম কোয়ালিফায়ার খেলবে। সেখান থেকে জয়ী দল সরাসরি ফাইনালে যাবে। আর হেরে যাওয়া দলের সামনে আরো একটি সুযোগ থাকবে ফাইনালে ওঠার। টেবিলের তিন ও চার নম্বরে থাকা দল খেলবে এলিমিনেটর ম্যাচ। সেখান থেকে জয়ী দল চলে যাবে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে। তাদের প্রতিপক্ষ হবে প্রথম কোয়ালিফায়ারের (রংপুর-কুমিল্লা) পরাজিত দল। এখান থেকে যারা জিতবে তারা ফাইনাল খেলবে।
দশম বিপিএলের শুরু থেকে চমক দেখিয়েছিল খুলনা। টানা চার ম্যাচ জিতে টেবিলের শীর্ষে উঠে বসে এনামুল হক বিজয়রা। তবে এরপরই ঘটে ছন্দপতন। পাঁচ ম্যাচ হেরে ছিটকে যায় তারা। পরে একটি ম্যাচে জয় আসে। আর সবশেষ ম্যাচে হেরে এখন বিদায়ের দারপ্রান্তে খুলনা।
এবার সবার আগে বিদায় নিয়েছে দুর্দান্ত ঢাকা। রেকর্ড ১১টি ম্যাচে টানা হেরে বিদায় নেয় দলটি। আর গেলবারের ফাইনালিস্ট সিলেট স্ট্রাইকার্সও এবার নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেনি। প্রথম পর্ব থেকেই বাদ পড়তে হয়েছে দলটিকে।