টি-টোয়েন্টিতে সপ্তম উইকেট জুটিতে বিশ্বরেকর্ড গড়লো বিপিএলের ম্যাচ। সিলেট স্ট্রাইকার্সের আরিফুল হক ও বেনি হাওয়েল জুটি বেঁধে ৫২ বলে ১০৮ রান করেছেন। যা সপ্তম উইকেটে সর্বোচ্চ। কিন্তু এই রেকর্ডের পরও জয়ের মুখ দেখেনি সিলেট। বরং হেরে বিপিএল থেকে বাদ পড়েছে সিলেট।
শনিবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বিপিএলের ম্যাচে সিলেট স্ট্রাইকার্সকে ১৮ রানে হারিয়েছে ফরচুন বরিশাল। শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৮৩ রান করে বরিশাল। ওই রান তাড়া করতে নেমে ১৬৫ রান করে সিলেট। ১০ ম্যাচে ষষ্ঠ জয়ে তিনেই থাকলো বরিশাল। ১০ ম্যাচে সিলেটের জয় তিনটি। দুরন্ত ঢাকার পর দ্বিতীয় দল হিসেবে বিপিএল থেকে বিদায় নিশ্চিত হলো সিলেটের।
এদিন শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ভালো করতে পারেনি ফরচুন বরিশাল। তৃতীয় ওভারে তানজিম হাসান সাকিবের শিকার হন আহমেদ শেহজাদ। আরেক ওপেনার তামিম ইকবালকেও ফেরান তানজিম। এই পেসারের বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরত যান তামিম। ৩ চারে ১৮ বলে ১৯ রান করেন তিনি।
মাঝে এসে সৌম্য সরকারও বড় রান করতে পারেননি। ৮ বলে ৮ রান করে তিনি আউট হন হ্যারি টেক্টরের বলে। ৩ উইকেট হারানোর পর দলকে নিয়ে ঘুরে দাঁড়ান মুশফিকুর রহিম ও কাইল মেয়ার্স। ৪৮ বলে ৮৪ রানের জুটি গড়েন তারা। এই জুটি ভাঙেন শফিকুল ইসলাম। ৩ চার ও সমান ছক্কায় ৩১ বলে ৪৮ রান করার পর এই পেসারের বলে শান্তর হাতে ক্যাচ তুলে দেন মেয়ার্স।
৩২ বলে ৫২ রান করে রান আউট হন মুশফিকুর রহিম। নিচে নেমে ৭ বলে ১৫ রান করেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ৪ ওভারে ৪৮ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন তানজিম হাসান সাকিব। একটি করে উইকেট নেন শফিকুল ও হ্যারি টেক্টর।
রান তাড়ায় নামার পরে প্রথম ওভারেই দুই উইকেট হারিয়ে ফেলে সিলেট স্ট্রাইকার্স। কোনো রান করার আগেই হ্যারি টেক্টর ও নাজমুল হোসেন শান্ত সাজঘরে ফেরত যান। ৪০ রানের ভেতর তারা হারায় ৬ উইকেট।
এরপর দলের হাল ধরেন বেনি হাওয়েল ও আরিফুল হক। ৫২ বলে ১০৮ রানের জুটি গড়েন তারা। যা টি-টোয়েন্টিতে বিশ্বরেকর্ড। সপ্তম উইকেট জুটিতে আগের রেকর্ডটি ছিল লাসিথ আবিরাত্নে ও রোশান অনুরুদ্দর। লঙ্কান ঘরোয়া লিগে কলম্বো ক্রিকেট ক্লাবের হয়ে চিলো মারিয়ান্সের বিপক্ষে ১০৭* রানের জুটি গড়েছিলেন তারা।
সেই রেকর্ড ভেঙে ৫ চার ও ৪ ছক্কায় ৩১ বলে ৫৭ রান করে আউট হন আরিফুল। এরপরও লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিলেন হাওয়েল। তবে শেষ ওভারে গিয়ে ৩২ বলে ৫৩ রান করে আউট হয়ে যান তিনি। শেষ হয়ে যায় সিলেটের আশাও। বরিশালের পক্ষে ৪ ওভারে ১ মেডেনসহ ১২ রান দিয়ে তিন উইকেট নেন মেয়ার্স।
১০ ম্যাচে ৬ জয়ে ১২ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছে বরিশাল। প্লে–অফ নিশ্চিত রংপুর রাইডার্স ১০ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে আছে শীর্ষে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা কুমিল্লার পয়েন্ট ৯ ম্যাচে ১৪। ১০ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে খুলনা। সমান পয়েন্ট নিয়ে চট্টগ্রাম আছে পঞ্চম স্থানে।