দেশের একটি বেসরকারি টেলিভিশনকে ওয়ানডে বিশ্বকাপের আগে সাকিব আল হাসান জানিয়েছিলেন, বিশ্বকাপ শেষ হওয়ার একদিন পরও বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক থাকতে চান না।
সাকিব নিজ থেকে অধিনায়ক ছাড়ার ব্যাপারে ঘোষণা দিলেও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রধান নির্বাহী জানিয়েছেন— এখনো সাকিবের পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক চিঠি পাঠায়নি বিসিবি।
সাকিব অধিনায়ক থাকবে কি না ভবিষ্যতের দিকে ঝুঁকবে বাংলাদেশ ক্রিকেট, সেই সিদ্ধান্ত হয়তো আজ বোর্ডসভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এখন পর্যন্ত কাগজ-কলমে বাংলাদেশ দলের তিন ফরম্যাটের অধিনায়ক সাকিব।
তবে বিশ্বকাপের আগে সাকিব জানিয়েছিলেন তিনি বিসিবিকে জানিয়ে রেখেছেন বিশ্বকাপ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ওয়ানডে দলের নেতৃত্ব ছাড়বেন।
বছর শেষ হয়ে ফেব্রুয়ারি চলে এলো— এখনো বিসিবি সাকিব থেকে অধিনায়কত্ব ছাড়ার ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক কোনো চিঠি পায়নি বলে জানিয়েছেন বিসিবির প্রধান নির্বাহী।
তিনি জানান, এ ধরনের কোনো তথ্য বা চিঠি (অধিনায়কত্ব ছাড়ার ব্যাপারে) আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে পাইনি। আমি আবারও বলি এগুলো কিন্তু আমাদের জন্য রুটিন ব্যাপার।
তিনি আরও জানান, অধিনায়ক বলেন বা সিলেকশন প্যানেল বলেন, তাদের যখন মেয়াদ শেষ হবে, এটা স্বাভাবিকভাবে বোর্ডে আসবে, আলোচনা হবে এবং সিদ্ধান্ত নেবে বোর্ড।
সাকিবের অনুপস্থিতিতে বিশ্বকাপের পর থেকেই বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। বিসিবির ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় তিনি বেশ ভালোভাবেই রয়েছেন বলে জানা গেছে। সাকিবই কি অধিনায়ক থাকবেন নাকি নতুন কারোর দিকে যাবে বিসিবি সেই আলোচনাও হবে বোর্ডসভায়।
এটা আমাদের এজেন্ডায় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। অধিনায়ক বলেন বা সহঅধিনায়ক বলেন কিংবা নির্বাচক প্যানেল বলে তাদের একটা নির্দিষ্ট মেয়াদের নিযুক্ত হয়। সেটা উত্তীর্ণ হলে যাদের দায়িত্ব দেওয়া হয় তারা যদি চালিয়ে যেতে চান তখনো বোর্ডের অনুমোদনের প্রয়োজন হয়, আবার কাউকে পরিবর্তন করতে চাইলেও বোর্ডের অনুমোদন লাগে। তবে সেভাবেই আমাদের এজেন্ডায় রয়েছে।