বাংলাদেশ দলের কেউই যখন বেশি রান করতে পারছিল না, তখন হাল ধরেছে আরিফুল ইসলাম। ব্লুমফন্টেইনে ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংস বড় করতে মুখ্য ভূমিকা তার। তরুণ এই অলরাউন্ডার ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে ছুলেন তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগার। আরিফুলের সেঞ্চুরিতে ভর করে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৯১ রানের বড় সংগ্রহ পেয়েছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল।
ভারতের কাছে হেরে যুব বিশ্বকাপের আসর শুরু করেছিল বাংলাদেশ। তবে পরের ম্যাচেই আইরিশদের হারিয়ে ঘুরে দাঁড়ায় এশিয়ার চ্যাম্পিয়নরা। শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে জিততে পারলে সুপার সিক্স নিশ্চিত হবে টাইগারদের।
এমন সমীকরণ নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্লুমফন্টেইনে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে অবশ্য শুরুটা তেমন স্বস্তির ছিল না ইয়াং টাইগারদের। দলীয় ২৯ রানে প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। আর্য গার্গের বলে পার্থ প্যাটেলের হাতে ক্যাচ দেওয়ার আগে ওপেনার আদিল করেন ২৮ বলে ১৩ রান।
এরপর চৌধুরী মো. রিজওয়ানকে নিয়ে জুটি গড়ার চেষ্টায় ছিলেন আশিকুর রহমান শিবলি। তাদের জুটি বড় হওয়ার আগেই রণে ভঙ্গ দেন শিবলি। নাদকার্দির শিকার হওয়ার আগে ৪৫ বলে ২৭ রান আসে তার ব্যাট থেকে। সর্বশেষ যুব এশিয়া কাপের সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক এই তরুণ ব্যাটার বিশ্বকাপে এখনো সেভাবে নিজেকে মেলে ধরতে পারছেন না।
দুই ওপেনারের বিদায়ের পর দলের হাল ধরার চেষ্টায় ছিলেন রিজওয়ান ও আরিফুল। তবে এবার সাজঘরে ফেরেন রিজওয়ান। ৪০ বলে ৩৫ রান এসেছে তার ব্যাট থেকে। এরপর আর কোনো বিপদ হতে দেননি আরিফুল ও আহরান জুটি। দুজনের ১১৫ বলে ১২২ রানের জুটিটিই বাংলাদেশকে বড় পুঁজির ভিত্তি গড়ে দেয়।
ব্যক্তিগত ফিফটির দোড়গোড়ায় গিয়ে ৪৯ বলে ৪৪ রান করে ফেরেন আহরার আমিন। অন্যপ্রান্তে ১০৩ বলে ৯ চারে সাজানো ১০৩ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেন আরিফ। এবারের আসরে বাংলাদেশি কোনো ব্যাটারের প্রথম সেঞ্চুরি এটি। এ ছাড়া শেষ দিকে ব্যাট করতে নেমে অধিনায়ক মাহফুজুর রহমান রাব্বি ১৭ বলে ৩১ রানের এক ক্যামিও ইনিংস খেলেন।
বাংলাদেশের বড় সংগ্রহের দিনে বল হাতে যুক্তরাষ্ট্রের আর্য গার্গ ৩টি এবং আরিন নাদকার্দি নেন ২টি উইকেট।