বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট অধিনায়ক নাঈমুর রহমান দুর্জয় সংসদ-সদস্য হয়েছেন এ দেশের ক্রিকেটারদের মধ্যে সবার আগে। এরপর সেই তালিকায় নাম লেখালেন আরেক সাবেক অধিনাক মাশরাফি মুর্তজা। এবার সংসদ-সদস্য হলেন সাকিব আল হাসান। তামিম ইকবাল রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেননি। জানালেন, ১০ বছর পর তিনিও হয়তো রাজনীতির মাঠে নামবেন।
বিপিএল মাঠে গড়ানোর আগে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন তামিম। সেখানে রাজনীতির প্রসঙ্গও ওঠে। তামিম বলেন, ‘এটা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ কথা। আমি এখন না হয় বললাম, ১০ বছর পরে তা হয়ে গেল। আপনি আগেভাগে কিছু অনুমান করতে পারবেন না। কিন্তু এখন পর্যন্ত আমার ব্যক্তিগত কোনো আগ্রহ নেই।’ ২০২০ সালেও ডয়চে ভেলেকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তামিম বলেছিলেন, রাজনীতিতে আসার বিন্দুমাত্র ইচ্ছা নেই তার। মাশরাফি ও সাকিব জাতীয় সংসদ-সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর তাদের অভিনন্দন জানিয়েছেন কী? তামিমের উত্তর, ‘আমার সঙ্গে এখনো দুজনের কারও সঙ্গে দেখা হয়নি। যদি দেখা হয়, কথা তো হবেই। তখন দেখা যাবে কী হয়।’
২০১৩ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর ফেসবুক পোস্টে সাকিব লিখেছিলেন, ‘আমি রাজনীতিতে যোগ দিচ্ছি না। রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার কোনো ইচ্ছা আমার নেই।’ ১০ বছর পর সাকিব এখন মাগুরার সংসদ-সদস্য। তিনিও রাজনীতিতে এসেছেন। তামিম সতর্ক। এছাড়া বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি হওয়ার ইচ্ছা নিয়েও মুখ খোলেন তামিম। এই বাঁ-হাতি ব্যাটার বলেন, ‘আমার এসবে কোনো আগ্রহ নেই। ভবিষ্যৎ আপনাকে কোথায় নিয়ে যায়, আপনি আগে বলতে পারবেন না। কপালে এমন কিছু থাকলে এমনিতেই হবে। আমি জোর করে চেয়ে তো নিতে পারব না।’
ফরচুন বরিশালের অধিনায়ক তামিম।
মাঠে মেহেদী হাসান মিরাজকে সরব রাখতে চান এই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার। তাকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য তামিমের চেষ্টা। এছাড়া দলে রয়েছেন আরও দুই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ।