নিজস্ব প্রতিবেদক | আপডেট: বুধবার, ডিসেম্বর ১, ২০২১
বাংলাদেশের
বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের শুরুটাও দারুণ হলো পাকিস্তানের। চট্টগ্রামে
পঞ্চম দিনের প্রথম সেশনেই খেলা শেষ করেছে
সফরকারীরা। ৮ উইকেটের জয়
নিয়ে দুই ম্যাচের সিরিজে
এগিয়ে গেছে পাকিস্তান। নিখুঁতভাবে
একটি জয় বের করে
নিয়ে যাওয়ায় পাকিস্তান দলকে প্রশংসায় ভাসিয়ে
দিচ্ছেন বোর্ড সভাপতি রমিজ রাজা। উচ্ছ্বসিত
প্রশংসায় মেতেছেন শোয়েব আখতার।
চট্টগ্রাম
টেস্টের প্রথম দিনটা ছিল বাংলাদেশের। দ্বিতীয়
দিনে ম্যাচটা সমতায় এলেও তৃতীয় দিনের
প্রথম দুই সেশনে আবার
বাংলাদেশ এগিয়ে গিয়েছিল। তাইজুল ইসলামের বাঁহাতি স্পিনে ৪৪ রানের লিড
পেয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসের ব্যাটিং–ব্যর্থতায় আবার ম্যাচ প্রতিপক্ষের
হাতে তুলে দেয় স্বাগতিক
দল। তবু প্রতিপক্ষের মাঠে
চতুর্থ ইনিংসে ২০২ রানের লক্ষ্যও
সহজ নয়। মাত্র ২
উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছেছে পাকিস্তান।
ম্যাচ
শেষ হওয়ার পর শোয়েব আখতার
বাবর আজমদের প্রশংসা করে বলেছেন, ‘টেস্ট
জয় বরাবরই মিষ্টি! ছেলেরা দারুণ করেছ। ইশ্, আবিদ যদি জোড়া
শতক পেত।’
তৃতীয়
দিনে পথ হারানো বাংলাদেশ
চতুর্থ দিনে ব্যাটিং–ধস
ঠেকাতে পারেনি। লিটন দাসের পঞ্চাশোর্ধ্ব
এক ইনিংসে মাত্র ১৫৭ রান করেছিল
বাংলাদেশ। তবু চট্টগ্রামের উইকেট
স্পিনবান্ধব বলে পাকিস্তান জয়
নিয়ে নিশ্চিত ছিল না। বিশেষ
করে তৃতীয় দিনের সকালে তাইজুলের স্পেলে পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইনআপে যেভাবে ধস নেমেছিল, সেটা
বাংলাদেশের আশা বাড়িয়ে দিয়েছিল।
গতকাল
পাকিস্তান বিনা উইকেটে ১০৯
রানে দিন শেষ করলেও
আজ বাংলাদেশ একটু আশা দেখছিল।
কারণ, তৃতীয় দিনেও পাকিস্তানের ব্যাটিংয়ে ধস নেমেছিল সকালের
সেশনে। কিন্তু পাকিস্তানের দুই ওপেনার আবিদ
আলী ও আবদুল্লাহ শফিক
কোনো সুযোগ দেননি স্বাগতিক দলকে।
১৫১
রানের উদ্বোধনী জুটি ম্যাচ থেকে
বাংলাদেশকে একেবারেই ছিটকে দিয়েছে। মেহেদী হাসান মিরাজ ও তাইজুল সান্ত্বনা
হিসেবে শফিক (৭৩) ও আবিদকে
(৯১) আউট করে দিলেও
পাকিস্তানের জয়ের পথে সেটা
কোনো বাধা হয়নি।
পাকিস্তান
ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান রমিজ রাজা এমন
পেশাদার পারফরম্যান্সে মুগ্ধ। টুইট করে বলেছেন,
‘ছেলেদের অভিনন্দন! এমন স্পিনবান্ধব উইকেটে
২০০ তাড়া করা একটা
পরীক্ষা ছিল। রান তাড়ার
কাজটা নিখুঁতভাবে তারা করেছে। আর
প্রতিপক্ষের মাঠে জয় বরাবরই
বিশেষ কিছু।’