নিজস্ব প্রতিবেদক | আপডেট: বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ২৫, ২০২১
নানা
কারণে স্ত্রীকে তাড়িয়ে দেওয়ার খবর তো প্রায়ই
শোনা যায়। কিন্তু রাগ
করে বাবার বাড়িতে চলে যাওয়া স্ত্রীকে
ফেরাতে এই যুবক অভিনব
পদক্ষেপ নিয়ে শিরোনামে এসেছেন।
বুধবার
গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দাম্পত্য
কলহের জেরে সন্তানকে নিয়ে
বাবার বাড়িতে চলে যান এক
স্ত্রী। পরে ‘আমার বউ,
আমায় ফেরত চাই’ পোস্টার
সেঁটে শ্বশুরবাড়ির সামনে রীতিমতো অনড় অবস্থানে বসেন
তার স্বামী।
ভারতের
পশ্চিমবঙ্গের মালবাজারে মহকুমার কাঠামবাড়ি এলাকার এই ঘটনা ঘটে।
ওই
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হরিদাস
মণ্ডল নামে ওই যুবক
মালবাজারের ক্রান্তি ব্লকের কাঠামবাড়ি এলাকার বাসিন্দা। তিনি পেশায় রাজমিস্ত্রি।
বছর চারেক আগে জ্যোৎস্না মণ্ডলের
সঙ্গে তার বিয়ে হয়।
তাদের একটি মেয়েও রয়েছে।
হরিদাসের
দাবি, বছরখানেক আগে সামান্য কারণে
দাম্পত্য অশান্তি হয়। তারপরই সন্তানকে
নিয়ে বাপের বাড়িতে চলে যান জ্যোৎস্না।
শ্বশুরবাড়ির মানুষ জোর করে তার
স্ত্রী এবং সন্তানকে আটকে
রেখেছেন বলে অভিযোগ করেছেন
তিনি।
তবে
জোর করে আটকে রাখার
বিষয়টি নাচক করে দিয়ে
জোৎস্না গণমাধ্যমকে বলেন, আমি কোনো মতেই
হরিদাসের সঙ্গে সংসার করতে চাই না।
কারণ তিনি আমার উপর
শারীরিক অত্যাচার করেন। সে কারণে আমি
বাপের বাড়ি চলে এসেছি।
এতে আমার বাবা-মার
কোনো দোষ নেই।
এদিকে,
স্ত্রী এবং সন্তানকে ফিরে
পাওয়ার দাবিতে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার দুপুর
থেকে স্ত্রী এবং সন্তানের ছবি
হাতে নিয়ে পিঠে পোস্টার
লাগিয়ে শ্বশুরবাড়ির সামনে অবস্থানে বসেন হরিদাস।
তিনি
জানান, যতক্ষণ না পর্যন্ত স্ত্রী
এবং সন্তান ফিরে পাচ্ছেন ততক্ষণ
তার এই অবস্থান চলবে।
এর জন্য তিনি মরতেও
রাজি।
তবে
মঙ্গলবার গভীর রাতে ক্রান্তি
থানার পুলিশ এবং স্থানীয় পঞ্চায়েত
সদস্যের আশ্বাসে শ্বশুরবাড়ির সামনে থেকে সরে আসেন
হরিদাস।