বিরাট কোহলির রেকর্ড ছোয়া সেঞ্চুরিতে, বিশ্বকাপে শীর্ষ স্থানের লড়াইয়ে দক্ষিণ আফ্রিকাকে রীতিমত উড়িয়ে দিয়েছে ভারত। কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে প্রথমে ব্যাট করে ৫ উইকেটে ৩২৬ রান করে স্বাগতিক দল। জবাবে দক্ষিণ আফ্রিকা গুটিয়ে গেছে মাত্র ৮৩ রানে। ২৪৩ রানের বিশাল জয়ে শীর্ষে ফিরেছে রোহিত শর্মারা।
দুই দলেরই সেমিফাইনাল নিশ্চিত হয়েছে আগেই। এই ম্যাচটি স্বাগতিকদের জন্য পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থান ধরে রাখা আর দক্ষিণ আফ্রিকার শীর্ষস্থান দখলের লড়াই ছিল। টানা আট জয়ে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের টপে আছে রোহিত শর্মার দল। অন্যদিকে দুই ম্যাচ হেরে ৪ পয়েন্ট পিছিয়ে দ্বিতীয়স্থানে প্রোটিয়ারা।
৩২৭ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে একেবারে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিং লাইন। বরাবরের মতো বড় ম্যাচে এবারেও নিজেদের টেম্পার ধরে রাখতে পারেনি ডি কক- মার্করামরা। টানা সেঞ্চুরি করা তারকারা আজ মাঠ ছেড়েছেন মাথা নিচু করে।
রবীন্দ্র জাদেজার ঘুর্ণিতে সাজঘরে ফিরেছেন পাঁচ ব্যাটার। কুলদ্বীপ যাদব আর মোহাম্মদ শামি ফিরিয়েছেন দুজন করে চারজনকে। আর প্রথম উইকেটটি পান মোহাম্মদ সিরাজ।
ঐতিহাসিক ইডেন গার্ডেন্সে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে রানের গতি বাড়াতে থাকেন রোহিত শর্মা ও সুবমান গিল। ৩৫ বলে ৬২ রানের জুটি ভাঙ্গেন রাবাদা। ২৪ বলে ৪০ করে তার শিকার হন রোহিত। গিলও ২৩ রানে ফিরে যান মহারাজের বোলিংয়ে। তৃতীয় উইকেটে জুটি বাঁধেন বিরাট কোহলি ও শ্রেয়াস আয়ার। এই জুটি ১৩৪ রান যোগ করে বিচ্ছিন্ন হন। শ্রেয়াশ আউট হন ৭৭ করে। এরপর লোকেশ রাহুল ও সূর্যকুমার যাদব দ্রুত ফিরে গেলে, রান তোলার গতি কমে যায় ভারতের।
সেঞ্চুরির কাছাকাছি এসে কোহলি কিছুটা সাবধানী হলে; রানের গতি বাড়ানোর দায়িত্ব নেন রবিন্দ্র জাদেজা। আগের তিন ম্যাচে দুবার সেঞ্চুরির কাছাকাছি এসেও হতাশ করেন কোহলি। তাই এবার শচীনের রেকর্ড ছুতে মানসিক ভাবে যেন প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ছিলেন। নিজের ৩৫তম জন্মদিনেই বহু প্রতিক্ষিত মাইলস্টোনে পৌঁছেন কোহলি এবং শেষ পর্যন্ত ১০১ রানে অপরাজিত থাকেন। অন্যপ্রান্তে জাদেজার অপরাজিত ২৯ রানে প্রোটিয়াদের ৩২৭ রানের টার্গেট দেয় ভারত।