ফ্রিডম বাংলা নিউজ

শুক্রবার, নভেম্বর ২২, ২০২৪ |

EN

দ.আফ্রিকার কাছে হারের ম্যাচে প্রাপ্তি মাহমুদউল্লাহর সেঞ্চুরি

স্পোর্টস ডেস্ক | আপডেট: বুধবার, অক্টোবর ২৫, ২০২৩

দ.আফ্রিকার কাছে হারের ম্যাচে প্রাপ্তি মাহমুদউল্লাহর সেঞ্চুরি
৩৮৩ রানের পাহাড়সম লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশের সামনে। দক্ষিণ আফ্রিকার বোলারদের সামনে একে একে সবাই যখন অসহায় আত্মসমর্পণ করছিল তখন বুক চিতিয়ে দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই করেন মাহমুদউল্লাহ। তুলে নেন সেঞ্চুরি। যা এবারের বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রথম সেঞ্চুরি। তার শতকের পরও ১৪৯ রানে হেরে সেমিফাইনালের রেস থেকে রীতিমত ছিটকে পড়লো সাকিব আল হাসানের দল।

মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে দক্ষিণ আফ্রিকার ৩৮২ রানের জবাবে বাংলাদেশ গুটিয়ে গেছে ২৩৩ রানে। প্রোটিয়া বোলারদের সামনে মাহমুদউল্লাহ ছাড়া আর কেউই দাঁড়াতে পারেননি।

সবাই যখন আসা-যাওয়ায় ব্যস্ত ছিলেন তখন শুধু একাই লড়েছেন রিয়াদ। নবম উইকেটে সর্বোচ্চ ৬৮ রানের জুটি গড়েছেন মুস্তাফিজুর রহমানকে নিয়ে। হারের ব্যবধান কমাতে আপ্রাণ চেষ্টা করে ৪৫.৪ ওভারের সময় কোয়েটজেকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ধরা পড়েন মার্কো জেনসেনর হাতে। ততক্ষণে তার নামের পাশে জ্বলজ্বল করছে ১১১ বলে ১১১ রানের ইনিংসটি।

এর আগে সাবধানী শুরু করেও মাত্র ৩০ রানের ওপেনিং জুটি গড়েন লিটন দাসা ও তানজিদ হাসান তামিম। এরপরেই ছন্দপতন ঘটে টাইগার ব্যাটিং লাইনে। মাত্র ১ রানের ব্যবধানে তিন উইকেট হারায় বাংলাদেশ। তানজিদ তামিম ফেরেন ১২ রানে। রানের খাতা খোলার আগেই  ফিরে যান নাজমুল হাসান শান্ত। মাত্র ১ রান করে আউট হন সাকিব আল হাসান।

পরে লিটন দাস আউট হন ২২ রানে, মিরাজ করেন ১১, নাসুম ১৯, হাসান মাহমুদ ১৫ এবং মুস্তাফিজুর রহমান ১১ রান করেন। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে জেরাল্ড কোয়ের্টজে ৩টি, মার্কো জানসেন, লিজার্ড উইলিয়ামস ও কাগিসো রাবাদা ২টি করে উইকেট নেন।

এর আগে  মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়াম টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে ঝড় তোলে দক্ষিণ আফ্রিকা। যদিও শুরুর ৩৬ রানেই দুই ব্যাটারকে ফিরিয়ে আশার আলো দেখাচ্ছিল। কিন্তু সেই আলো নিভে যেতে সময় লাগেনি।

দলীয় ৩৩ রানে ১৯ বলে ১২ রান করা হেনরিখসকে আউট করেন শরিফুল। তার আউটের পর ক্রিজে আসা রাসি ভ্যান ডুসেনকে আউট করে বাংলাদেশকে দ্বিতীয় সাফল্য এনে দেন মেহেদি হাসান মিরাজ। এরপর ক্রিজে আসা অধিনায়ক এইডেন মার্করামকে সঙ্গে নিয়ে আক্রমণাত্নক ব্যাটিং করতে থাকেন ডি কক। ৪৭ বলে অর্ধশতক পূর্ণ করেন ডি কক। আর তাকে যোগ্য সঙ্গ দিতে থাকেন মার্করাম। এরই মাঝে অর্ধশতক পূর্ণ করেন মার্করাম। 

দলীয় ১৬৭ রানে ৬৯ বলে ৬০ রান করে সাকিবের বলে লং অফে দাঁড়িয়ে থাকা লিটন দাসের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন মার্করাম। তার বিদায়ের পর ক্রিজে আসা হেনরিক ক্লাসেনকে সঙ্গে নিয়ে ব্যাট করতে থাকেন ডি কক। ১০১ বলে শতক পূর্ণ করেন ডি কক। এরপর আরও আক্রমণাত্নক হয়ে খেলতে থাকেন এই ব্যাটার। তার সঙ্গে সমানতালে রান তুলতে থাকেন ক্লাসেন। বাংলাদেশি বোলারদের ওপর চড়াও হয়ে খেলতে থাকেন এই দুই ব্যাটার। 

১৩০ বলে দেড়শ রান পূর্ণ করেন ডি কক। এরই মাঝে ৩৪ বলে ফিফটি পূরণ করেন ক্লাসেন। তবে দলীয় ৩০৯ রানে ১৪০ বলে ১৭৪ রান করে আউট হন ডি কক। 

ডি ককের বিদায়ের পরও আগ্রাসী ব্যাটিং অব্যাহত রাখেন ক্লাসেন। তার সঙ্গে ঝড় তোলেন ক্রিজে আসা ডেভিড মিলার। মাত্র ২০ বলে অর্ধশত রানের জুটি গড়েন এই দুই ব্যাটার। ইনিংসের চার বল বাকী থাকতে দলীয় ৩৭৪ রানে ৪৯ বলে ৯০ রান করে আউট হন ক্লাসেন। শেষ পর্যন্ত ৫০ ওভার শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে ৩৮২ রান সংগ্রহ করে দক্ষিণ আফ্রিকা। মিলার ১৫ বলে ৩৪ রানে অপরাজিত থাকেন।  

বাংলাদেশের হয়ে হাসান মাহমুদ দুটি, সাকিব, মিরাজ, শরিফুল একটি করে উইকেট নেন।