এশিয়া কাপে গ্রুপপর্বের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার কাছে বিধ্বস্ত হয়েছিল বাংলাদেশ। সুপার ফোরের প্রথম ম্যাচেও দেখা মিললো সেই বাংলাদেশের। মেরেকেটে ১৯৩ রান তোলা বাংলাদেশ হারলো ৭ উইকেটে। ৬৩ বল ও ৭ উইকেট হাতে রেখে জয় দিয়ে সুপার ফোর শুরু করলো পাকিস্তান।
ধবার (৬ সেপ্টেম্বর) লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে ভঙ্গুর ব্যাটিং লাইন নিয়ে পাকিস্তানের গতিশীল বোলিং লাইনের বিপক্ষে দাঁড়াতে পারেনি মিরাজ-লিটনরা। আবার ব্যাটারদের সামনেও প্রতিরোধ করতে পারেনি তাসকিন-সাকিবরা। সাকিব-মুশফিকের জোড়া ফিফটিতে ১৯৩ রান করে বাংলাদেশ। ৩৯.৩ ওভারেই ১৯৪ রান ছুঁয়ে ফেলেছে পাকিস্তান।
১৯৩ রানের ছোট্ট লক্ষ্য পেরোতে ইমাম উল হকের ৭৮ এবং মোহাম্মদ রিজওয়ানের অপরাজিত ৬৩ রান দারুণ ভূমিকা রাখে। এর মাঝে ফখর জামানের ২০ ও বাবর আজমের ১৭ রান উল্লেখযোগ্য। টাইগারদের সাফল্য বলতে শরীফুল ২৪ রানে ১টি তাসকিন ৩২ রানে ১টি এবং মিরাজ একটি উইকেট নেন।
টস জিতে আগে ব্যাটিং নেন সাকিব। মিরাজ (০) আজ নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি। দলে ফেরা লিটনও (১৬) ব্যর্থ হন। নাইম শেখ (২০) চেষ্টা করেও বেশিদূর এগোতে পারেননি। তাওহীদ হৃদয়ও (২) ছিলেন বিবর্ণ।
৫০ পেরোনোর আগেই ৪ উইকেট হারানো বাংলাদেশের এলোমেলো ইনিংসকে জোড়া লাগান সাকিব-মুশফিক জুটি। অভিজ্ঞ এই জুটি থেকে বরাবর ১০০ রান আসে। ৫৭ বলে ৫৩ রানের ইনিংস খেলে দলকে ছোট স্কোরের লজ্জা থেকে বাঁচিয়ে যান টাইগার অধিনায়ক।
তিনি ফেরার পর মুশফিকও বেশিদূর যেতে পারেননি। শামীমকে নিয়ে ২৭ রানের জুটি গড়েন। শামীম ১৬ রানে ফেরার পর মুশফিকও ফিরে যান। ফেরার আগে ৮৭ বলে ৬৪ রানের ইনিংস খেলেন এই উইকেট রক্ষক ব্যাটার। পরে আফিফ ১২ রান করলে প্রায় দুশো ছোঁয়া স্কোর পায় বাংলাদেশ।
পাকিস্তানের হয়ে বল হাতে আগুন ঝরান হারিস রউফ। মাত্র ১৯ রানের বিনিময়ে শিকার করেন ৪টি উইকেট। ৩টি উইকেট নেন নাসিম শাহ। শাহীন আফ্রিদি, ফাহিম আশরাফ ও ইফতিখার একটি করে উইকেট নেন।