মেহেদি হাসান মিরাজ ও নাজমুল হোসেন শান্তর জোড়া সেঞ্চুরিতে এশিয়া কাপে ৫ উইকেটে ৩৩৪ রানের রেকর্ড গড়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। এশিয়া কাপের ইতিহাসে বাংলাদেশের এটাই দলীয় সর্বোচ্চ রান। এর আগে ২০১৪ সালের ৩ মার্চ পাকিস্তানের বিপক্ষে মিরপুরে এনামুল হক বিজয়ের সেঞ্চুরি (১০০)। ইমরুল কায়েস (৫৯), মুমিনুল হক (৫১) ও মুশফিকুর রহিমের (৫১) ফিফটি এবং সাকিব আল হাসানের ১৬ বলের ৪৪ রানের ঝড়ো ইনিংসে ভর করে ৩ উইকেটে ৩২৬ রান করেছিল বাংলাদেশ।
এশিয়া কাপের দলীয় সর্বোচ্চ রানের বিচারে আজ বাংলাদেশ ষষ্ঠ সর্বোচ্চ ৩৩৪ রান করেছে। এশিয় কাপে দলীয় সর্বোচ্চ রানের মালিক পাকিস্তান। তারা ২০১০ সালে শ্রীলংকার ডাম্বুলায় বাংলাদেশের বিপক্ষে অধিনায়ক শহিদ আফ্রিদিনের সেঞ্চুরি (১২৬) এবং ইমরান ফারহাত (৬৬), শাহজাইব হাসান (৫০) ও কামরান আকমলের (৫০) ফিফটিতে ভর করে ৭ উইকেটে ৩৮৫ রানের পাহাড় গড়ে।
দলের হয়ে ১১৯ বলে ৭টি চার আর ৩টি ছক্কার সাহায্যে দলীয় সর্বোচ্চ ১১২ রান করে হাতে চোট পেয়ে রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে ফেরেন ওপেনার মিরাজ। ১০৫ বলে ৮টি চার আর ২টি ছক্কার সাহায্যে ১০৪ রান করে রান আউট হন নাজমুল হোসেন শান্ত।
রোববার পাকিস্তানের লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে এশিয়া কাপের ১৬তম আসরের চতুর্থ ম্যাচে আফগানিস্তানের মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ। নিজেদের প্রথম ম্যাচে শ্রীলংকার বিপক্ষে হেরে গ্রুপর্ব থেকেই ছিটকে যাওয়ার শঙ্কায় রয়েছে টাইগাররা। সুপার ফোরের লড়াইয়ে টিকে থাকতে হলে আজ বাংলাদেশকে জিততেই হবে।
এমন কঠিন সমীকরণের ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে উড়ন্ত সূচনা করে বাংলাদেশ। ওপেনার মোহাম্মদ নাইম শেখের সঙ্গে ৬০ বলে ৬০ রানের জুটি গড়েন মেহেদি হাসান মিরাজ। এরপর মাত্র ৩ রানের ব্যবধানে ২ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে যায় বাংলাদেশ। ৩২ বলে ২৮ আর ২ বলে শূন্য রানে ফেরেন নাইম শেখ ও তাওহিদ হৃদয়।
তৃতীয় উইকেটে দলের হাল ধরেন মিরাজ-শান্ত। এই জুটিতে তারা ১৯০ বলে ১৯৪ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েন।
দলীয় ২৫৭ রানে মিরাজ সেঞ্চুরির পর হাতে চোট পেয়ে সাজঘরে ফেরেন। সেঞ্চুরি করার পর দলীয় ২৭৮ রানে রান আউট হয়ে ফেরেন শান্ত। শেষ দিকে সাকিব আল হাসানের ১৮ বলের ৩২ রানের ঝড়ো ইনিংসের সুবাদে ৫০ ওভারে ৩৩৪ রান করে বাংলাদেশ।