Can't found in the image content. রুদ্ধশ্বাস জয়ে আরেকটি ফাইনালে মেসির মায়ামি | ফ্রিডম বাংলা নিউজ
ফ্রিডম বাংলা নিউজ

সোমবার, ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪ |

EN

রুদ্ধশ্বাস জয়ে আরেকটি ফাইনালে মেসির মায়ামি

স্পোর্টস ডেস্ক | আপডেট: বৃহস্পতিবার, আগস্ট ২৪, ২০২৩

রুদ্ধশ্বাস জয়ে আরেকটি ফাইনালে মেসির মায়ামি
হারের দ্বার প্রান্ত থেকে আবারও দলকে উদ্ধার করলেন লিওনেল মেসি। নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময়ে স্কোর বোর্ডে সমতার পর টাইব্রেকারে সিনসিনাতিকে হারিয়ে ইউ এস ওপেন কাপের ফাইনালে উঠেছে ইন্টার মায়ামি।

বৃহস্পতিবার সকালে সিনসিনাতির টিকিউএল স্টেডিয়ামে প্রথম ২-০ গোলে পিছিয়ে পড়েছিল মায়ামি। ম্যাচের অন্তিম মুহূর্তে গোল করে নির্ধারিত সময়ে ২-২ সমতা টানে দলটি। দুটি গোলই দলের ফরোয়ার্ড লিওনার্দো কাম্পানাকে দিয়ে করান মেসি। অতিরিক্ত সময়ে মায়ামি এগিয়ে যায়। পরে ৩-৩ সমতা টানে সিনসিনাতি। ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। সেখানে ৫-৪ ব্যবধানে জিতে ফাইনালে ওঠে মেসির দল।

এক মাস আগেও যে দলটি ছিল তলানীতে। সেই দলটিই বদলে গেছে মেসির ছোঁয়ায়। কিছুদিন আগেই দলের লিগস কাপ জয়ে অগ্রণী ভূমিকা ছিল এই আর্জেন্টাইন জাদুকরের। সাত ম্যাচে দশ গোল করে আসরের সর্বোচ্চ গোলদাতার পাশাপাশি জিতে নেন টুর্নামেন্ট সেরার পুরস্কার। এবার জোড়া অ্যাসিস্টে দলকে নিলেন আরেকটি শিরোপা জয়ের খুব কাছে।

ম্যাচের ১৮তম মিনিটে বাম প্রান্ত দিয়ে আক্রমণে উঠে গোল আদায় করে নেয় সিনসিনাটি। কাছ থেকে লক্ষ্যভেদ করেন লুসিয়ানো আকোস্তা। বিরতির পরপরই পালটা আক্রমণে ব্যবধান দ্বিগুণ করে দেন ব্রান্ডন ভাজকেজ। ডান প্রান্ত থেকে তার মাটি কামড়ানো বুলেট গতির কোনাকুনি শট ডানে ঝাপিয়েও নাগাল পাননি গোলরক্ষক।

৬৮তম মিনিটে মায়ামি শিবিরে উঁকি দেয়ে জয়ের আশা। ডি-বক্সের বাম প্রান্তে ফ্রি-কিক পায় দলটি। মাপা শট নেন মেসি। পোস্টের কাছ থেকে হেডে ব্যবধান কমান কাম্পানা।

ম্যাচের যোগ করা সময়ের সপ্তম মিনিটে এই জুটির মাধ্যমেই হার এড়ায় মায়ামি। এবারও বাম প্রান্ত থেকে মেসির মাপা ক্রস পেয়ে খুব কাছ থেকে হেডে সমতা টানেন একুয়েদর ফরোয়ার্ড। ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। সেখানে তৃতীয় মিনিটেই মায়ামিকে এগিয়ে নেন জোসেফ মার্তিনেজ। কিন্তু ১১৪তম মিনিটে ইউয়া কুবোর গোলে ম্যাচ গড়াই টাইব্রেকারে।

মেসি আসার পর এ নিয়ে তিনটি ম্যাচ টাইব্রেকারে খেলেছে মায়ামি। তিনটিতেই এসেছে জয়। এদিনও প্রথম সফল কিকটি নেন রেকর্ড সাতবারের বর্ষসেরা ফুটবলার। তার দেখানো পথেই পরের চারটিও সফল স্পটকিক নেন সতীর্থরা। সিনসিনাতি নির্ধারিত প্রথম পাঁচ শটের শেষটিতে গোল করতে ব্যর্থ হয়। বেঞ্জামিনের করা সফল স্পট কিকের পর উল্লাসে ফেটে পড়ে মায়ামি শিবির।

ফাইনাল ম্যাচটি অবশ্য এখনো প্রায় এক মাস পর। আগামী ২৭ সেপ্টেস্বর। সেখানে মায়ামির প্রতিপক্ষ হিউস্টন ডায়নামো ও রিয়েল সল্ট লেকের মধ্যে বিজয়ী দল।