বাংলাদেশ দলের দুই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার তামিম ইকবাল ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। সাম্প্রতিক সময়ে রান খরায় ভুগছেন এ দুই ক্রিকেটার।
তা সত্ত্বেও বিশ্বকাপ দলে খুব ভালো করেই নির্বাচকদের নজরে আছেন তামিম। এমনকি তাকে ছাড়া বিকল্প কিছু ভাবতেও চায় না তারা।
সেখানে ঠিক উল্টো অবস্থানে আছেন মাহমুদউল্লাহ। বিশ্বকাপে যে তিনি থাকছেন না তা আরও একবার ইঙ্গিত দিলেন নির্বাচক হাবিবুল বাশার।
আসন্ন এশিয়া কাপের দলেও নেই তামিম ও মাহমুদউল্লাহ। তামিম ছিটকে গেছেন ইনজুরির কারণে। তবে অনেক ভাবনার পরও মাহমুদউল্লাহকে রাখেনি নির্বাচকরা।
এশিয়া কাপের সেই দল ঘোষণার সময়ই প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু বলেছিলেন, এশিয়া কাপের দল থেকে খুব বেশি পরিবর্তন করা হবে না বিশ্বকাপ দলে।
মূলত ব্যাটিংয়ে রিফ্লেক্স কমে যাওয়ার পাশাপাশি ফিল্ডিংয়েও নড়বড়ে হয়ে যাওয়ায় মাহমুদউল্লাহকে নিয়ে সেই অর্থে আর ভাবছেন না নির্বাচকরা।
শনিবার তামিম ইকবাল প্রসঙ্গে কথা বলেন হাবিবুল। সেখানেই তার অভিজ্ঞতার ব্যাপারটি তুলে ধরে বলেন, তামিম কঠোর পরিশ্রম করছে। অনেক চেষ্টা করছে ফিরে আসার জন্য। আমার মনে হয় সময়ের আগেই ফিরে আসবে। নিউজিল্যান্ড সিরিজেই তাকে ফিরে পাওয়ার ব্যাপারে আমি আত্মবিশ্বাসী। কারণ বিশ্বকাপের জন্য তামিমকে আমাদের ভীষণ দরকার।
তামিমের অভিজ্ঞতাটা, তামিমের পারফরম্যান্সটা আমাদের ভালো করার জন্য অনেক দরকার।
তামিমের মতোই অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহও। হাবিবুলকে এই বিষয়টি মনে করিয়ে দিলে বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। ‘আমার মনে হয় প্রশ্নটা এর আগে অনেকবার করা হয়েছে। এই প্রশ্নটা এর আগে অনেকবার ক্লিয়ারও করা হয়েছে। খুব ভালো হয় আমাদের এখন যে এশিয়া কাপের দল আছে সেই দল নিয়ে ভাবি। সেই দল নিয়েই পরিকল্পনা করি।'
পরে আফগানিস্তান সিরিজেও সুযোগ দেওয়া হয়নি তাকে। তার পরিবর্তে নেওয়া হয় তাওহিদ হৃদয়কে। যদিও হৃদয়কে উপরে উঠিয়ে মাহমুদউল্লাহর পজিশনে খেলানো হয় আরেক অভিজ্ঞ ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিমকে। হৃদয় ও মুশফিক দুইজনই ভালো করায় ফেরাটা তখনই কঠিন হয়ে যায় মাহমুদউল্লাহর জন্য।
তবে মাহমুদউল্লাহর সম্ভাবনা একেবারেই যে নেই তাও বলেননি এই নির্বাচক। ইনজুরির কথা চিন্তা করে বিশ্বকাপ দলের সঙ্গে বাড়তি খেলোয়াড় নেওয়ার কথা ভাবছে বিসিবি।
সে তালিকায় মাহমুদউল্লাহ রয়েছেন কি-না জানতে চাইলে হাবিবুল বলেন, কে কে থাকবে, কোন ৮ জন থাকবে তা এখনো আমরা ঠিক করিনি। তবে ৩২ জনের পুল আমরা আগেই করেছিলাম।