ফ্রিডমবাংলানিউজ ডেস্ক | আপডেট: সোমবার, আগস্ট ৯, ২০২১
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিনী বেগম ফজিলাতুন নেসা মুজিবের ৯১তম জন্ম বার্ষিকী উপলক্ষে ভারতের নয়া দিল্লীস্থ বাংলাদেশ হাই কমিশন আজ বিস্তারিত কমর্সূচি পালন করেছে।
বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেসা মুজিব ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট রাতে বঙ্গবন্ধুসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের ন্যায় ঘাতক ও খুনী চক্রের নির্মম বুলেটের আঘাতে নৃশংসভাবে হত্যাকান্ডের শিকার হন। তার জন্মদিন পালন উপলক্ষে নয়া দিল্লীতে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশনের হাই কমিশনার মোহাম্মদ ইমরানসহ দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আজ সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধু ও বেগম ফজিলাতুন নেসা মুজিবের প্রতিকৃতিতে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এ উপলক্ষে দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু হলে রাষ্ট্রপতি মো: আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাণী পাঠ করে শোনানো হয়।
এছাড়াও দূতাবাসের হাই কমিশনার মোহাম্মদ ইমরানের সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় হাইকমিশনার মোহাম্মদ ইমরান বলেন, বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেসা মুজিব ছিলেন একজন মহিয়সী সংগ্রামী নারী। যিনি নিভৃতে বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক সংগ্রাম এগিয়ে নিয়েছেন। ব্যক্তি জীবনে তিনি ছিলেন একেবারেই সাধারণ বাঙ্গালী রমনীর প্রকৃতরূপ। তিনি একদিকে তার সন্তানদের আদর্শ শিক্ষায় বড় করেছেন, সংসার সাজিয়েছেন। আবার স্বাধীনতা আন্দোলনকে ধাপে ধাপে এগিয়ে নিতে বঙ্গবন্ধুকে অনুপ্রেরণা যুগিয়েছেন।
আলোচনায় অন্যান্যের মধ্যে অংশ নেন দূতাবাসের প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল কালাম আজাদ মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান।
আলোচকরা বলেন, একজন বেগম মুজিবের কর্মময় জীবন পুরোটাই আমাদের বাঙ্গালী নারীদের জন্য হতে পারে একটি অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত।
অনুষ্ঠানে বেগম ফজিলাতুন নেসা মুজিবের ওপর নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র ও “টুঙ্গিপাড়ার মিয়া ভাই” চলচ্চিত্রটি প্রদর্শন করা হয়।
নতুন প্রজন্মকে উদ্ধুদ্ধ করার জন্য “টুঙ্গিপাড়ার মিয়া ভাই” চলচ্চিত্রটি দূতাবাসের পরবর্তী অনুষ্ঠানেও প্রদশর্ন করা হবে।
পরিশেষে বেগম ফজিলাতুন নেসা মুজিবের আত্মার শান্তি কামনা করে দোয়া করা হয়।