শেষ বিকালে ওভাল স্টেডিয়ামে বাতাসটাও যেন সঙ্গ দিচ্ছিল স্টুয়ার্ট ব্রডকে। গুড লেন্থের বলটা টড মার্ফির ব্যাটের বাইরে আউটসুইং। ব্রড নন স্ট্রাইকে থাকা বেল ছুঁয়ে দেখলেন কেন যেন। অবিশ্বাস্য হলেও কাজে দিল সেটা। পরের বলেই উইকেটের পেছনে ক্যাচ। নবম উইকেটের পতন। এরপর আবারও বোলিংয়ে এসেছেন তিনি। আগের মতই উইকেটরক্ষকের হাতে ক্যাচ! নিজের ক্যারিয়ারের শেষ বলটায় উইকেট পেলেন ইংলিশ পেসার ব্রড!
এর আগে ক্যারিয়ারে ব্যাট হাতে নিজের শেষ বলটায় ছয় মেরেছেন। আর বল হাতে পেয়েছেন উইকেট! বিদায়ী ম্যাচটা একান্তই নিজের করে নিয়েছেন ব্রড। আর তাতে ইংল্যান্ডও পেয়েছে ৪৯ রানের দারুণ এক জয়। সিরিজ শেষ হলো ২-২ সমতায়। যদিও ফেরার পথে ছাইদানি সঙ্গে নিয়ে যাচ্ছে অস্ট্রেলিয়াই।
২০০১ সালের পর থেকে ইংল্যান্ডকে তাদের মাটিতে সিরিজ হারাতে পারেনি অজিরা। সেই আক্ষেপ মেটাতেই ব্যাট শুরু করেছিলেন দুই ওপেনার উসমান খাজা আর ডেভিড ওয়ার্নার। আগের দিনের ১৩৫ রানের জুটির সঙ্গে আর ৫ রান যুক্ত করতেই আউট হলেন ওয়ার্নার। দিনের চতুর্থ ওভারেই তাকে সাজঘরে ফেরার ওকস। এক ওভার পরেই ওকস ফিরিয়েছেন খাজাকেও।
জুটি বড় করতে পারেননি মারনাস লাবুশেন এবং স্টিভেন স্মিথ। মার্ক উডের বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন লাবুশেন। ততক্ষণে ধারাভাষ্যকক্ষে বিতর্ক উঠেছে বল বদল নিয়ে। রিকি পন্টিংয়ের মতে, বল বদলের বেলায় তুলনামূলক নতুন বল পেয়েছে ইংলিশরা।
অবশ্য ক্রিজে ততক্ষণে সেট হয়েছেন স্টিভ স্মিথ আর ট্রাভিস হেড। এরপরেই আবার বিতর্ক। লেগ স্লিপে স্মিথের দারুণ ক্যাচ নিয়েছেন স্টোকস। তবে উদযাপন করতে গিয়ে বল ছুড়ে দেওয়ার সময়ে ঘটে বিপত্তি। হাঁটুর কাছে গেলে বল পড়ে যায়। আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত নটআউট।
এরপরেই দৃশ্যপটে হাজির বৃষ্টি। প্রায় দুই ঘণ্টা পর শুরু হল খেলা। ওভার নেমে এলো ৪৭-এ। বিরতির পর জাদু দেখালেন মঈন আলী। দারুণ এক স্পেলে ফিরিয়েছেন ট্রাভিস হেডকে। টিকতে পারেননি স্মিথও। ওকসের শিকার হলেন তিনিও। শেষ স্বীকৃত ব্যাটার মিচেল মার্শকেও এরপরে ফিরিয়েছেন মঈন।
শেষ দুই উইকেট। ওভালের শেষ বিকালে হাজির ব্রড। এই টেস্ট তার জন্যই জিততে চেয়েছিল ইংল্যান্ড। দায়িত্বটা আর কাউকে নিতে হয়নি। শেষটা নিজেই করেছেন তিনি। দুটো উইকেটই প্রায় একইরকম। টড মার্ফি আর অ্যালেক্স ক্যারিকে ফিরিয়ে শেষ ম্যাচটায় দলের জয় নিশ্চিত করলেন ব্রড।