ফ্রিডম বাংলা নিউজ

শনিবার, নভেম্বর ২৩, ২০২৪ |

EN

মেসির পিএসজি ছাড়া নিয়ে মুখ খুললেন নেইমার

স্পোর্টস ডেস্ক | আপডেট: শনিবার, জুলাই ২২, ২০২৩

মেসির পিএসজি ছাড়া নিয়ে মুখ খুললেন নেইমার
ফরাসি লিগ ওয়ান চ্যাম্পিয়ন প্যারিস সেইন্ট জার্মেই (পিএসজি) ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ সকারের ক্লাব ইন্টার মায়ামিতে যোগ দিয়েছেন আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী ফুটবলার লিওনেল মেসি। রেকর্ড সাতবারের ব্যালন ডি'অরজয়ী এই মহাতারকার পিএসজি ছেড়ে চলে যাওয়া নিয়ে নানা গুঞ্জন রয়েছে।

স্প্যানিশ ক্লাব বার্সেলোনা ছেড়ে ২০২১ সালে পিএসজিতে যোগ দিয়েছিলেন মেসি। তবে প্যারিসে মাত্র ২ মৌসুম কাটিয়েই বিদায় নিয়েছেন ৩৫ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড। ফ্রান্স ছেড়ে মেসির চলে যাওয়ার পিছনে অনেকে কিলিয়ান এমবাপের হাত দেখছিলেন। এবার মেসির পিএসজি ছাড়া নিয়ে মুখ খুলেছেন তার দীর্ঘদিনের বন্ধু ও সাবেক সতীর্থ নেইমার জুনিয়র।

ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার নেইমার জানান, পিএসজিতে মাঠের পারফরম্যান্সে নিজের নামের প্রতি সুবিচার করলেও মাঠের বাইরে কঠিন সময় পার করতে হয়েছে মেসিকে। পিএসজিতে দুই বছরে মেসির পরিবার দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাই যুক্তরাষ্ট্রের মায়ামিতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সর্বকালের অন্যতম সেরা এই ফুটবলার।

মেসিকে পিএসজি ছাড়ার কারণ জিজ্ঞেস করেন নেইমারও। সেই সময়ের কথা স্মরণ করে ব্রাজিলের তারকা ফুটবলার বলেন, ‘মেসিকে নিয়ে আমার মধ্যে সন্দেহ তৈরি হলে ক্লাব ছাড়ার বিষয়টি নিয়ে আমি তাকে প্রশ্ন করেছিলাম। তিনি এর জবাবও দিয়েছেন।’

মেসির ক্লাব ছাড়া প্রসঙ্গে নেইমার আরও বলেন, ‘পিএসজিতে দুই বছরে মেসির পরিবার দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অথচ তিনি সবকিছুই জিতেছেন। মেসি এমন কোথাও যেতে চেয়েছিলেন যেখানে তাকে সাদরে গ্রহণ করা হবে। তিনি এখন সম্পূর্ণ ভিন্ন একটি জীবন কাটাতে পারবেন। মায়ামিতে তার পরিবারও বেশ স্বস্তিতে থাকবে।’

এদিকে, গুঞ্জন উঠে ছয় বছর কাটানোর পর এই গ্রীষ্মেই পিএসজি ছাড়তে পারেন নেইমার। প্রিমিয়ার লিগের একাধিক ক্লাবও ব্রাজিলের এই ফুটবলারকে দলে ভেড়াতে আগ্রহ প্রকাশ করে। পিএসজির মূল তারকা এমবাপ্পের সঙ্গে মনোমালিন্য থাকায় নেইমার ক্লাব ছাড়তে পারেন এমন গুঞ্জন উঠে।

যদিও এখন অবধি ফরাসি ক্লাবটিতেই আছেন ব্রাজিলের তারকা এই ফুটবলার মেসির বিদায়ের ফলে আগামী মৌসুমে পিএসজির জার্সিতে আরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে নেইমারকে। মেসির অনুপস্থিতিতে আগামী মৌসুমে নতুন এই চ্যালেঞ্জ কতটুকু পালন করতে পারেন নেইমার সেটিই এখন দেখার বিষয়।