বয়স, অভিজ্ঞতা কিংবা পরিসংখ্যান সবদিক থেকেই নোভাক জকোভিচের চেয়ে যোজন যোজন পিছিয়ে ছিলেন কার্লোস আলকারাজ। অবশ্য মাঠের পারফরম্যান্স এমন কোনো ব্যবধানই খুঁজে পাওয়া যায়নি। সার্বিয়ান গ্রেট জকোভিচের সঙ্গে চোখে চোখ রেখে লড়েছেন স্পেনের ২০ বছর বয়সী তরুণ। তাতেই তার মুকুটে উঠেছে আরও একটি পালক।
উইম্বলডন টেনিসের ফাইনালে জকোভিচকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছেন আলকারাজ। স্প্যানিশ তারকার এটি দ্বিতীয় গ্র্যান্ড স্লাম শিরোপা। এর আগে গত বছর ইউএস ওপেনের ফাইনালে ক্যাসপার রুডকে পরাজিত করে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়নের মুকুট পড়েছিলেন টেনিসের এই ভবিষ্যত মহারাজা।
চ্যাম্পিয়ন হলেও আলকারাজের শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি। প্রথম সেটে খুব বাজেভাবে তাকে হারিয়ে দেন জকোভিচ। কেন তাকে টেনিসের ভভিষ্যত রাজা বলা হয় সেটা দ্বিতীয় সেটে প্রমাণ করেন আলকারেজ। দারুণ লড়াইয়ে পর টাইব্রেকারে দ্বিতীয় সেট জিতে নেন এই প্রতিভাবান টেনিস তারকা।
তৃতীয় সেটে জকোভিচকে পাত্তাই দেননি র্যাঙ্কিংয়ের চূড়ায় থাকা আলকারেজ। টানা দুই সেট হেরে অনেকটাই বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন জকোভিচ। অবশেষে চতুর্থ সেট জিতে আশা বাঁচিয়ে রাখেন ২৩টি গ্র্যান্ড স্লা জেতা জকোভিচ। যদিও শেষ সেটে আর রক্ষা হয়নি তার।
শেষ সেটে আলকারাজের কাছে ৬-৪ গেমে হেরে যান জকোভিচ। এর মাধ্যমে ২০১৩ সালের পর প্রথমবারের মতো অল ইংল্যান্ড ক্লাবের সেন্টার কোর্টে পরাজয়ের তিক্ত স্বাদ পেলেন জকোভিচ।
উইম্বলডন জেতার পর আলকারাজ বলেন, ‘আমার স্বপ্ন সত্যি হয়েছে। জকোভিচের কাছে হেরে গেলেও আমি নিজেকে নিয়ে গর্ব করতাম। ২০ বছর বয়সী একটা ছেলের জন্য গ্র্যান্ড স্লামের এই পর্যায়ে খেলার স্বপ্ন খুব দ্রুতই পূরণ হয়ে গেল। এজন্য আমি সত্যিই অনেক গর্বিত।’