ইউরো বাছাইয়ে চতুর্থ জয় পেল ফ্রান্স। ১০ জনের গ্রিসের বিপক্ষে সোমবারের খেলায় ফরাসিরা জিতেছে কিলিয়ান এমবাপ্পের রেকর্ড গোলে। ১-০ গোলের জয়ে ‘বি’ গ্রুপে ১২ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে ফ্রান্স। দ্বিতীয় স্থানে থাকা গ্রিসের (৬) চেয়ে ৬ পয়েন্টে এগিয়ে তারা।
এর আগে নেদারল্যান্ডস, রিপাবলিক অব আয়ারল্যান্ড ও জিব্রাল্টারকে হারায় ফরাসিরা। চার ম্যাচে তাদের গোল ৯টি। কেউই একবারও তাদের জালের নাগাল পায়নি।
দ্বিতীয়ার্ধে এমবাপ্পে পেনাল্টি থেকে চলতি মৌসুমে ক্লাব ও দেশের হয়ে ৫৪তম গোল করেন। তাতে ১৯৫৭-৫৮ মৌসুমে জাস্ট ফন্টেইনের রেকর্ড ভেঙে ফ্রান্সের কোনো খেলোয়াড় হিসেবে এক মৌসুমে সর্বোচ্চ গোলের মালিক হলেন তিনি।
২৫তম মিনিটে এমবাপ্পের ক্রসে র্যান্ডাল কোলো মুয়ানি গোলের পরিষ্কার সুযোগ পান। কিন্তু তার হেড গোলবারের পাশ দিয়ে যায়। তারও আগে এমবাপ্পে ও কিংসলে কোম্যান সুযোগ তৈরি করলেও কাজে লাগাতে পারেননি।
তিনবার পেনাল্টির আবেদন করে প্রত্যাখ্যাত হওয়া ফ্রান্স আরেকটি সুযোগ পায়। জুলেস কোন্দের ভলি ফিরিয়ে দেন ওডিসিস ভ্লাচোদিমোস। স্বাগতিকরা শেষ পর্যন্ত পেনাল্টি পায়। আন্তোয়ান গ্রিয়েজম্যানকে প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়ের ফাউল করলে স্পট কিকের বাঁশি বাজান রেফারি।
এমবাপ্পের শট অবশ্য ঠেকিয়ে দেন ভ্লাচোদিমোস। কিন্তু আবারও কিক নেওয়ার সুযোগ পান ফরাসি অধিনায়ক, কারণ আগেভাগে গোললাইন ছেড়ে বেরিয়ে যান গ্রিক গোলকিপার। ৫৫ মিনিটে দ্বিতীয় চেষ্টায় এমবাপ্পে উঁচু কোনাকুনি শটে জাল কাঁপান। ৭০তম আন্তর্জাতিক ম্যাচে ৪০তম গোল করেন তিনি।
গ্রিসের ফিরে আসার সম্ভাবনা শেষ হয়ে যায় ৬৯ মিনিটে মাভরোপানোস সরাসরি লাল কার্ড দেখলে। গোলমুখে ছুটতে থাকা মুয়ানিকে ফাউল করার শাস্তি পান।
আগামী ৭ সেপ্টেম্বর ঘরের মাঠে আয়ারল্যান্ডের মুখোমুখি হবে ফ্রান্স। গ্রিস খেলবে নেদারল্যান্ডসের মাটিতে।
দিনের আরেকটি বড় ম্যাচে ইংল্যান্ড ৭-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে নর্থ মেসিডোনিয়াকে। বুকায়ো সাকা তার ক্যারিয়ারের প্রথম হ্যাটট্রিক করেছেন। প্রথম চারটি ম্যাচের সবগুলো জিতে ১২ পয়েন্ট নিয়ে ‘সি’ গ্রুপের শীর্ষে থ্রি লায়নরা।