ফ্রিডম বাংলা নিউজ

শনিবার, নভেম্বর ২৩, ২০২৪ |

EN

এফএ কাপের ফাইনালে মুখোমুখি ম্যানইউ-ম্যানসিটি

স্পোর্টস ডেস্ক | আপডেট: শনিবার, জুন ৩, ২০২৩

এফএ কাপের ফাইনালে মুখোমুখি ম্যানইউ-ম্যানসিটি

ছবি: সংগৃহীত

১২ বছর আগে ইংলিশ ফুটবলে ট্রেবল জয়ের পথে থাকা ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে ওয়েম্বলিতে হারিয়ে আলোড়ন সৃষ্টি  করেছিল ম্যানচেস্টার সিটি। তবে এবার সিটির ট্রেবল জয়ের পথে হুমকি হয়ে এসেছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। 

শনিবার (৩ জুন) এফএ কাপের ফাইনালে ইউনাইটেডের মোকাবেলা করতে যাচ্ছে সদ্য প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা জয়ী সিটি। 

টানা তৃতীয়বারের মতো প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা জয় করা ম্যানচেস্টার সিটি দ্বিতীয় কোনো ইংলিশ ক্লাব হিসেবে ট্রেবল শিরোপা জিততে মাত্র দুই জয় দূরে আছে। 

এর আগে ১৯৯৯ সালে ইংলিশ শিরোপা, চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও এফএ কাপের শিরোপা জয় করেছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। সিটির বর্তমান সাফল্য এবং তাদের চ্যালেঞ্জ করার মতো ইউনাইটেডের আশাবাদী অবস্থান দুই দলের সামনে একটি অকল্পনীয় পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। সর্বশেষ ২০১১ সালে ওয়েম্বলিতে এফএ কাপের সেমিফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল দুই দল।  

জাতীয় স্টেডিয়ামের ওই শোডাউনের কয়েক সপ্তাহ পর পাঁচ বছরের মধ্যে চতুর্থবারের মতো প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা জয় করে ইউনাইটেড। সেই সঙ্গে পৌঁছে যায় চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে। 

তবে অ্যালেক্স ফার্গুসনের অধীনে ইউনাইটেডের সেই সোনালী যুগ আর নেই। কয়েক দশকের অব্যবস্থাপনার কারণে ক্ষতবিক্ষত হয়ে শিরোপা খরায় থাকা সিটিও সেই সময় ওয়েম্বলিতে গিয়ে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলে দিয়েছিল ইউনাইটেডকে। 

ওই সময় নগর প্রতিদ্বন্দ্বী  ক্লাবটির উপর ইউনাইটেডের শ্রেষ্ঠত্ব এমন ছিল যে ভক্তরা ওল্ড ট্রাফোর্ডে একটি ব্যানার প্রদর্শন করেছিল যেখানে উল্লেখ করা হয়েছিল কত বছর আগে সর্বশেষ ট্রফি জয় করেছে সিটি।

২০১১ সালে সিটিজেনদের হতাশ করে ব্যানারে লেখা সংখ্যাটি ছিল ৩৫। তবে এরপরেই এক বিবৃতিতে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয় ঘোষণা করেছিল সিটিজেনরা।
২০০৮ সালে শেখ মনসুরের মালিকানাধীন আবুধাবী ভিত্তিক গ্রুপ মালিকানা নেয়ার পর যখন ব্যপক অর্থ ব্যয়ে খেলোয়াড় সংগ্রহ করতে শুরু করে তখন প্রিমিয়ার লিগের আলোচনায় উঠে আসে সিটি। 

২০০৯ সালেও সিটিকে ইউনাইটেডের হুমকি হয়ে ওঠার বিষয় নাকচ করে দিয়ে ক্লাবটিকে ‘ ঝামেলা পাকানো প্রতিবেশি’ হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন ফার্গুসন।
কিন্তু কোচ রবার্তো মানচিনির অধীনে ক্রমেই উন্নতি করতে থাকে সিটি এবং এর প্রতিফলন ঘটায় এফএ কাপের সেমিফাইনালে। 

বিপুল অর্থে যোগ দেয়া ইয়াইয়া তোরের গোলেই ওই ম্যাচে জয়লাভ করে আকাশী জার্সির দল সিটি। ফলে এতাদিন ধরে যে পরাজয় সিটিকে জর্জরিত করে আসছিল, সেটি যেন এক ঝটকাতেই মুছে যায়।   

২০১১ সালের  সেমিফাইনালে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে হারানোর পর চলতি বছর প্রিমিয়ার লিগের ৭টি শিরোপাসহ এ পর্যন্ত ১৫টি শীর্ষ ট্রফি জয় করেছে ম্যানচেস্টার সিটি। আর পেপ গার্দিওলা প্রধান কোচ হিসেবে যোগ দেয়ার পর ক্লাবটি অনন্য এক উচ্চতায় পৌঁছে গেছে। সর্বশেষ ছয় মৌসুমে পাঁচটি লিগ শিরোপা জয় করেছে সিটিজেনরা। 

অপরদিকে ওই সময়কালে ইউনাইটেড জয় করেছে মাত্র ছয়টি শীর্ষ ট্রফি। তন্মধ্যে সর্বশেষ ট্রফিটি তারা জয় করেছে ২০১৩ সালে ফার্গুসনের আমলে।

তবে এই মৌসুমে ইউনাইটেডের ট্রফি খরা দূর করেছেন কোচ এরিক টেন হাগ। ছয় বছর পর এই মৌসুমে  ট্রাফি জয় করেছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। 

একই সঙ্গে তৃতীয় অবস্থান নিয়ে প্রিমিয়ার লিগের মৌসুম শেষ করা এবং এফএ কাপের ফাইনাল খেলা  ইউনাইটেডের জন্য উৎসাহজনক। আর এফএ কাপের অল ম্যানচেস্টার ফাইনালে চ্যাম্পিয়নদের হারাতে পারাটা হবে ইউনাইটেডের জন্য আরেকটি গুরুত্বপূর্ন মাইল ফলক।

টেন হাগ বলেন,‘ এটি সত্যি যে আমরা সম্ভবত বর্তমান সময়ের সেরা দলটির বিপক্ষে খেলতে যাচ্ছি। সেখানেও সুযোগ আছে, তবে আমাদেরকে সর্বস্ম দিয়ে খেলতে হবে।’