পর পর দুটি সংবাদে দেশের ফুটবলাঙ্গন আজ আলোচনামুখর। প্রথমটি সাফ চ্যাম্পিয়ন দলের সদস্য সিরাত জাহান স্বপ্নার হঠাৎ করেই ফুটবল থেকে অবসরের খবর। এর কিছুক্ষণ পরেই কোচ গোলাম রব্বানী ছোটনের বাফুফে ছাড়ার খবর। শুক্রবার (২৬ মে) দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমের কাছে অবসর নেয়ার কথা জানান ছোটন।
নিজের ক্লান্তির কথা তুলে ধরে ছোটন বলেন, ‘গত কয়েক বছর অসম্ভব পরিশ্রম করেছি। সেই ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কয়েকটি দলকে পর্যায়ক্রমে অনুশীলন করিয়েছি। শারীরিক এবং মানসিক উভয় দিক থেকে আমার বিশ্রাম দরকার। এখন বয়সও হয়েছে। পরিবারকেও সময় দেওয়া দরকার। তাই বাফুফের দায়িত্ব ছাড়তে চাই’।
আনুষ্ঠানিকভাবে ক্লান্তির কথা বললেও ছোটনের মনে রয়েছে অসন্তোষ ও অপ্রাপ্তি। বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের সাফল্যের অন্যতম কারিগর গোলাম রব্বানী ছোটন। তার হাত ধরেই সাফ ট্রফিসহ কয়েকটি আন্তর্জাতিক শিরোপা জিতেছে নারী দল। এত কিছু জিতলেও তার সঠিক মূল্যায়ন সেভাবে হয়নি। আর্থিক পারিশ্রমিকের পাশাপাশি আরো কয়েকটি বিষয়েও তার অসন্তুষ্টি রয়েছে। ছোটন অনেক পরিশ্রম করলেও লাখ টাকা সম্মানী পান। অন্যদিকে পল স্মলি ২০ হাজার ডলার। গত মৌসুমে বসুন্ধরা কিংসের নারী দলের প্রস্তাব ছিলো ছোটনের। জাতীয় দলের চেয়ে অনেক বেশি অর্থের প্রস্তাব থাকলেও বাফুফে কর্তাদের আশ্বাসে তিনি সেখানে যোগ দেননি।
বাফুফের নারী উইংয়ের চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণকে ছোটনের প্রসঙ্গে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, আমার কাছে এমন তথ্য নেই ।
ছোটন নারী দলের কোচিং করানোর আগে বাফুফের এএফসি’র বেতনভুক্ত কোচ ছিলেন। ফুটবলার হিসেবে অবসর নেওয়ার পর কোচিংই তার পেশা। এই আয় থেকেই তার পারিবারিক ব্যয় নির্বাহ হয়। বিশ্রামের পর আবার কোচিংয়ে ফিরতে চান, ‘আপাতত পরিকল্পনা মাস দুয়েক বিশ্রাম নেওয়ার। এরপর হয়তো কোনো ক্লাব কোচিংয়ে ফিরতে পারি’।