কাতার বিশ্বকাপের ফাইনালে হারের পর প্রথমবার মাঠে নামে ফ্রান্স। ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাইপর্বে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে অধিনায়ক হিসেবে অভিষেক ম্যাচ দারুণভাবে রাঙিয়েছেন কিলিয়ান এমবাপ্পে।
শুক্রবার (২৪ মার্চ) রাতে প্যারিসে ডাচদের বিপক্ষে ৪-০ গোলে জয়ের ম্যাচে জোড়া গোল করেছেন এমবাপ্পে। এমন পারফরম্যান্সের দিনে ফ্রান্সের হয়ে সর্বোচ্চ গোলের তালিকায় করিম বেনজেমাকে টপকে গেছেন ২৪ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড।
দেশের হয়ে ৯৭ ম্যাচ খেলা বেনজেমার গোল ছিল ৩৭টি। অন্যদিকে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে ৬৬ ম্যাচে ৩৬ গোল করেছিলেন এমবাপ্পে। ফলে বোঝাই যাচ্ছে, দুরন্ত গতিতে ছুটছেন পিএসজি তারকা।
ডাচদের বিপক্ষে অধিনায়ক হিসেবে প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমে ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটেই আতোয়াঁন গ্রিজমানের গোলে সহায়তা করেন এমবাপ্পে। এরপর ২১ মিনিটে চুয়ামেনির থ্রু পাস থেকে দারুণ ফিনিশিংয়ে গোল করেন এমবাপ্পে।
এই গোল করে এমবাপ্পে গোল করায় ছুঁয়ে ফেলেন রিয়াল মাদ্রিদ তারকা বেনজেমাকে। এরপর ম্যাচের ৮৮ মিনিটে দারুণ এক গোল করে স্বদেশি বেনজেমাকে ছাড়িয়ে যান সময়ের অন্যতম সেরা এই ফরোয়ার্ড।
ফ্রান্সের হয়ে বেনজেমাকে ছাড়িয়ে গেলেও সব মিলিয়ে এমবাপ্পের অবস্থান এখন পাঁচে। তবে মাত্র ২৪ বছর বয়সেই যে গতিতে ছুটছেন, তাতে সবাইকে ছাড়িয়ে শীর্ষে ওঠাটা সময়েরই ব্যাপার এমবাপ্পের জন্য।
ফরাসিদের হয়ে গোলদাতার তালিকায় ১২০ ম্যাচে ৫৩ গোল নিয়ে সবার ওপর আছেন অলিভিয়ের জিরুদ। কিংবদন্তি থিয়েরি অঁরি আছেন দ্বিতীয় অবস্থানে। সাবেক এই আর্সেনাল তারকা ফ্রান্সের হয়ে ১২৩ ম্যাচে গোল করেছিলেন ৫১টি।
পরের স্থানে রয়েছেন এমবাপ্পের সতীর্থ আতোয়াঁন গ্রিজমান। আতলেটিকো মাদ্রিদের এই তারকা দেশের হয়ে ১১৮ ম্যাচে করেছেন ৪৩ গোল। চতুর্থ স্থানে থাকা মিশেল প্লাতিনি ৭২ ম্যাচে করেন ৪১টি গোল।
পরিসংখ্যান বলছে, শীর্ষ পাঁচে থাকা বাকিরা এমবাপ্পের বয়সে (২৪ বছর ৩ মাস) তাঁর ধারেকাছেও ছিলেন না। এ বয়সে শীর্ষে থাকা জিরু গোলের খাতা খোলেননি। আর অঁরি ১১টি, গ্রিজমান ৫টি এবং প্লাতিনি ১১টি গোল করেছিলেন। তাই পিএসজি তারকা শেষ পর্যন্ত কোথায় গিয়ে থামেন, সেটাই এখন দেখার অপেক্ষা।