কাতার বিশ্বকাপে নিয়মিত শুরুর একাদশে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে খেলাননি সেই সময় পর্তুগালের ডাগআউটে থাকা কোচ ফার্নান্দো সান্তোস। কিন্তু কাগজকলমে দলটির অধিনায়ক ছিলেন রোনালদোই। বিশ্বকাপের পর পর্তুগাল কোনো ম্যাচ খেলেনি, রোনালদোও নেতৃত্ব ছেড়ে দেওয়ার কোনো ঘোষণা দেননি।
সব মিলিয়ে পর্তুগালের অধিনায়ক এখনো রোনালদোই আছেন। কিন্তু জাতীয় দলের অধিনায়ক হিসেবে ফিফা দ্য বেস্ট পুরস্কারে তাঁর যে ভোটাধিকার আছে, সেটা তিনি কাজে লাগাননি। প্রতিবার ফিফা দ্য বেস্ট পুরস্কারের পর বিশ্বজোড়া ফুটবলপ্রেমীদের মনে একটা প্রশ্ন জাগে— এ সময়ের দুই তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বী লিওনেল মেসি ও রোনালদোর কে কাকে ভোট দিয়েছেন।
এবার সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে দেখা গেল— রোনালদো ফিফা দ্য বেস্টে ভোটই দেননি। তাঁর পরিবর্তে পর্তুগাল দল থেকে ভোট দিয়েছেন রিয়াল মাদ্রিদের সাবেক ডিফেন্ডার পেপে। ৪০ বছর বয়সী পেপে প্রথম ভোটটি দিয়েছেন মেসির পিএসজি–সতীর্থ কিলিয়ান এমবাপ্পেকে। দ্বিতীয় ও তৃতীয় ভোটটি তিনি দিয়েছেন রিয়ালে তাঁর দুই সাবেক সতীর্থ লুকা মদরিচ ও করিম বেনজেমাকে।
মরক্কোর কাছে হেরে বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় নেয় পর্তুগাল। দলের বিশ্বকাপ–ব্যর্থতার পর কোচের পদ থেকে সরে দাঁড়ান সান্তোস। এ কারণে ভোট দিতে পারেননি তিনি। তাঁর বদলে ফিফা দ্য বেস্টে ভোট দিয়েছেন পর্তুগালের নতুন কোচ রবার্তো মার্তিনেজ।
মার্তিনেজের প্রথম ভোটটি পড়েছে এবারের ফিফা দ্য বেস্ট পুরস্কার জয়ী মেসির বাক্সেই। পরের দুটি ভোট তিনি দিয়েছেন যথাক্রমে ম্যানচেস্টার সিটির বেলজিয়ান মিডফিল্ডার কেভিন ডি ব্রুইনা ও এমবাপ্পেকে।
রোনালদো কেন ভোট দেননি, সেই কারণ অবশ্য জানা যায়নি। তবে এবারের ফিফা দ্য বেস্ট পুরস্কারের সংক্ষিপ্ত তালিকায়ই ছিলেন না পর্তুগালের তারকা। এ কারণে তিনি ভোট পাওয়ার তালিকাতেও ছিলেন না।