প্রায় আড়াই সপ্তাহ। অবশেষে নির্ধারণ হবে বিশ্ব চ্য়াম্পিয়ন। মহিলাদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফাইনালে আজ মুখোমুখি অস্ট্রেলিায় ও আয়োজক দক্ষিণ আফ্রিকা। এ বারই প্রথম দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত হল মহিলাদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। আর এই প্রথম টুর্নামেন্টের ফাইনালেও পৌঁছল দক্ষিণ আফ্রিকা। টুর্নামেন্টের শুরুতেই বিশাল ধাক্কা খেয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। ফিটনেস পরীক্ষায় পাশ করতে পারেননি তাদের অধিনায়ক ডেন ভ্য়ান নিকার্ক। তাঁকে বাদ দিয়েই বিশ্বকাপের দল গড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট বোর্ড। নেতৃত্ব দেওয়া হয় সুনে লুসকে। দলের সেরা প্লেয়ারকে ছাড়াই ফাইনালে পৌঁছেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ফাইনালে সামনে পাঁচ বারের চ্য়াম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া। এ বারের টুর্নামেন্টে এখনও অবধি অপরাজিত অজিরা।
সাম্প্রতিক পারফরম্য়ান্সে অস্ট্রেলিয়া কার্যত ধরাছোঁয়ার বাইরে। পরিসংখ্য়ানেও। টি-টোয়েন্টি ফরম্য়াটে গত ছ-বারের সাক্ষাতে সব কটিই জিতেছে অজিরা। গ্রুপ পর্বেও দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৬ উইকেটে হারিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। তবে অজিদের কাছে সেই হারের পর থেকে অনবদ্য় পারফর্ম করছে দক্ষিণ আফ্রিকা। বিশেষ করে বলতে হয় সেমিফাইনালে ইংল্য়ান্ডের বিরুদ্ধে পারফরম্য়ান্স। তাসমিন ব্রিৎজের বিধ্বংসী ব্য়াটিং, চারটি ক্য়াচ, বোলারদের টিম পারফরম্য়ান্স, শক্তিশালী ইংল্য়ান্ডকে ৬ রানে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
ঘরের মাঠ, প্রথম বার ফাইনাল। ইতিহাস গড়ার সুযোগ রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে। কাজটা যদিও সহজ নয়। ষষ্ঠবার বিশ্ব চ্য়াম্পিয়ন হওয়ার লক্ষ্য়ে নামছে অস্ট্রেলিয়া। তাদের হারাতে গেলে আরও একবার দক্ষিণ আফ্রিকা টপ অর্ডারকে জ্বলে উঠতে হবে। সেমিফাইনালে তাসমিন ব্রিৎজ, লরা উলফার্ট দারুণ শুরু দিয়েছিলেন। দু-জনেই অর্ধশতরান করেন। তেমনই তিন নম্বরে মারিজান কাপের ক্য়ামিও ইনিংস। ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে তেমনই ইনিংস খেলতে পারলে জয় সম্ভব। দক্ষিণ আফ্রিকার বোলিং লাইন আপ খুবই ভালো। তবে অজিদের চাপে ফেলতে বড় রান চাই।