সাকিব আল হাসান, বাংলাদেশের সেরা তো বটেই, ক্রিকেট বিশ্বেরই অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার বলে বিবেচিত। রানের বিচারে বাংলাদেশের সবচেয়ে সফল ব্যাটারের নাম তামিম ইকবাল। সাকিব টাইগারদের নেতৃত্ব দেন টেস্ট ও টি-টোয়েন্টিতে, তামিম যে দায়িত্ব সামলান ওয়ানডেতে। দেশের ক্রিকেটের এই দুই গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রের মাঝে অবশ্য সম্পর্কটা ঠিক মধুর নয়।
একসময়ে সাকিব-তামিমকে বলা হত মানিকজোড়। দুজনের বন্ধুত্বের খবর ফলাও করে প্রচার করা হয়েছে সবখানেই। তবে সাম্প্রতিক সময়ে যা আর নজরে আসে না। বরং আসে উলটো খবর। দুজন নাকি একে অপরের সঙ্গে কথাই বলেন না!
এই কথা আড়াল করেননি বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। ক্রিকবাজের সঙ্গে আলাপে বিসিবি বস বলেন বাংলাদেশ দলের ড্রেসিংরুমের পরিবেশ স্বাস্থ্যকর নয়!
নাজমুল হাসান পাপনের ভাষায়, ‘এটি একটি স্বাস্থ্যকর ড্রেসিংরুম নয়, এটি আমি আপনাকে আশ্বস্ত করতে পারি। এই ব্যাপারটা (সাকিব ও তামিমের মধ্যে সম্পর্কে ফাটল), এটা এমন নয় যে আমি এটা সমাধানের চেষ্টা করিনি। আমি তাদের দুজনের সঙ্গেই কথা বলেছি এবং আমি বুঝতে পেরেছি যে এই মুহূর্তে তাদের মধ্যকার সমস্যাগুলি নিষ্পত্তি করা সহজ নয়। এই আমার পর্যবেক্ষণ… তাদের উভয়কে একটি বার্তা দেওয়া হয়েছে– আমরা জানি না আপনাদের মধ্যে কি চলছে, তবে আপনারা যে ম্যাচে বা সিরিজ খেলছেন, সেখানে এই সমস্যাগুলি সামনে আসতে পারে না। তারা দুজনেই আশ্বাস দিয়েছিলেন যে এটি খেলার সময় থাকবে না।’
মাঠের বাইরে যাই হোক বিসিবি সভাপতির চাওয়া ড্রেসিংরুমে যেনো সব স্বাভাবিক থাকে।
পাপন বলেন, ‘তাদের (সাকিব ও তামিম) মাঠে এবং ড্রেসিংরুমেও কথা বলতে হয়। ড্রেসিংরুমের পরিবেশও খারাপ ছিল তবে কিছুটা উন্নতি হয়েছে। এই সিরিজ থেকে (ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আসন্ন হোম সিরিজ) আমি অন্তত ড্রেসিংরুমে এটি (তাদের সম্পর্ক) পরিবর্তন করতে চাই। তারা বাইরে যা করে তা আমার জন্য চিন্তার বিষয় নয়।’
শুধু সাকিব-তামিম সম্পর্কই নয়, দলে গ্রুপিং হয় বলে জানিয়েছেন নাজমুল হাসান পাপন। তার মতে এটিই বর্তমানে বাংলাদেশ ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় সমস্যা।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ক্রিকেটের এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড় সমস্যা এই গ্রুপিং এবং এটাই বাস্তবতা। আমার আর অন্য কিছুতে সমস্যা নেই। আমি শুধুমাত্র এই গ্রুপিং সম্পর্কে ভীত এবং আমি কিছুদিন আগে এটি সম্পর্কে জানতে পেরেছি। বিশ্বকাপেও ওদের হোটেলে না থাকার পরও যা দেখেছি শুনেছি… বিশ্বাস করতে পারছি না এটা কিভাবে সম্ভব! সুন্দর ভবিষ্যৎ দেখতে হলে আমাদের এর অবসান ঘটাতে হবে কারণ একটা জিনিস সবারই বোঝা দরকার তা হল গ্রুপিং করার সুযোগ নেই।’