চোখের জলে লিওনেল মেসির বিদায়ের দিনটা অনেকেরই মনে দাগ কেটেছিল। আগের বছর বার্সার সেই সময়কার প্রেসিডেন্ট জোসেফ মারিয়া বার্তোমেউর সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয় মেসির। এর পর অভিমানে ক্লাব ছাড়ার কথা জানান। কিন্তু চুক্তির শর্তে আটকে পড়তে হয় তাঁকে।
২০২১ সালে কোপা আমেরিকা জয়ের পর বার্সাতে পা রেখে নতুন প্রেসিডেন্টকে মেসি বলেছিলেন তিনি থাকতে চান। কিন্তু এবার তারা মেসিকে না বলে দেয়। এর পর তো বার্সা ছেড়ে পিএসজিতে চলে যেতে হয় মেসিকে। এর পেছনে অনেক নাটকীয় ঘটনাও ছিল। যাওয়ার বেলায় মেসি নাকি বার্সার ড্রেসিংরুমে ব্ল্যাকবোর্ডে 'জুডাস' শব্দটি লিখে যান। যার বাংলা অর্থ বিশ্বাসঘাতক। তবে কেন এই শব্দটি লিখলেন তিনি। এর কারণটা এত দিনে জানা গেল।
স্প্যানিশ ক্রীড়া দৈনিক মার্কা দেশটির খ্যাতনামা সাংবাদিক হোসে ম্যানুয়েল এস্ট্রাদার বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন, এই শব্দটি মূলত তাঁরই সাবেক সতীর্থ জেরার্ড পিকেকে ইঙ্গিত করে লিখেছেন আর্জেন্টাইন তারকা। এর পেছনের কারণও এই সাংবাদিক জানিয়েছেন, সে সময় মেসি আর্জেন্টিনা থেকে স্পেনে আসার আগেই আর্থিক নীতির বিষয়টি মিটমাট হয়ে যায়। বার্সার কর্তাদের সঙ্গে এক হয়ে তখন নাকি পেছন থেকে কলকাঠি নাড়েন পিকে।
মেসি থাকতে চান না এমন বার্তাও পিকে জানিয়ে দেন তাঁদের। এর পর মেসি ফিরলে স্রেফ সব কিছু বন্ধ হয়ে যায় তাঁর জন্য। বিষয়টি অন্য এক সতীর্থের মাধ্যমে জানতে পারেন মেসি। যেটা তাঁকে খুব কষ্ট দেয়। চলে যাওয়ার দিন লকার রুম থেকে নিজের জিনিসপত্র গোছানো শেষ করে পাশের ব্ল্যাকবোর্ডে জুডাস শব্দটি বড় করে লিখে দেন। পরে জর্দি আলবাকে পিকে জিজ্ঞেস করেন, কে লিখেছে এটি। উত্তরে জর্দি বলেন মেসির কথা।
এই কারণেই মেসির স্ত্রী রোকেজ্জুর সঙ্গে পিকের সাবেক বান্ধবী শাকিরারও দূরত্ব তৈরি হয়। যদিও সাম্প্রতিক কঠিন সময়ে আবার রোকেজ্জুকে শাকিরার পাশে দাঁড়াতে দেখা যায়। মূলত পিকের সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হওয়ার পর রোকেজ্জু আবার শাকিরাকে ফলো করছেন। তাঁর বিভিন্ন পোস্টে লাইক দিচ্ছেন, এমনকি নানাভাবে সাহস জোগাচ্ছেন। এত দিন পর পুরোনো চক্রান্তটা সামনে এলো।