দেশের একমাত্র ফ্রাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)। এবার টুর্নামেন্টের নবম আসর শুরুর আগে বিভিন্ন ইস্যুতে সমালোচনায় পড়েছিল বিপিএলের গভর্নিং কাউন্সিল। তবে মাঠের লড়াইয়ে দলগুলোর ধারাবাহিক পারফরম্যান্স এসব সমালোচনাকে পাশ কাটিয়ে জমজমাট টুর্নামেন্ট উপহার দিচ্ছিল।
কিন্তু বিপিএল নবম আসরের মাঝপথে এসে আবারও সমালোচনায় পড়েছে। ঢাকা ডমিনেটর্সের ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকরা অর্ধেকের বেশি ম্যাচ খেলার পরও ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক দিতে গড়িমসি করছেন। তবে দেশের ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিসিবির তাৎক্ষণিক হস্তক্ষেপে নাসির হোসেনের দল নিজেদের পারিশ্রমিক বুঝে পেয়েছেন।
বিপিএলের নিয়ম অনুযায়ী টুর্নামেন্ট শুরুর আগে ৫০ শতাংশ, মাঝপথে ২৫ শতাংশ আর টুর্নামেন্ট শেষের এক মাসের মধ্যে বাকি ২৫ শতাংশ পাওনা অর্থ ক্রিকেটারদের বুঝিয়ে দিতে হবে। তবে ঢাকা ফ্রাঞ্চাইজির মালিকদের পক্ষ থেকে কোনো অর্থ পাচ্ছিলেন না নাসির-তাসকিনরা।
নিয়মানুসারে পারিশ্রমিক না পেয়ে গতকাল শনিবার (৪ জানুয়ারি) রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে খেলতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিল ঢাকা ডমিনেটর্সের খেলোয়াড়রা। পরে অবশ্য বিসিবি ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক বুঝিয়ে দেয়। এরপর তারা মাঠে নামেন।
সূত্রে জানায়, রাতেই স্থানীয়দের ২৫ শতাংশ ও বিদেশিদের ৫০ শতাংশ পারিশ্রমিক বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। পারিশ্রমিক বুঝে পেয়ে মাঠে নামেন ক্রিকেটাররা। ফ্র্যাঞ্চাইজির জমা রাখা জামানত থেকেই ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরীর সুজন বলেন, আমরা ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক দিয়েছি। কিছু কিছু বিদেশি খেলোয়াড়ের শতভাগ পারিশ্রমিক দেওয়া হয়েছে।
এর আগে বিপিএলের সিলেট পর্ব শুরুর আগেও পারিশ্রমিক নিয়ে জটিলতায় পড়েছিল বিসিবি। তখন ঢাকার ক্রিকেটাররা খেলতে চাননি। পরে ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে বসে সমাধান করে বিসিবি। সেবার ২৫ শতাংশ পারিশ্রমিক পরিশোধ করা হয়েছিল।