ফ্রান্সের ষষ্ঠ স্তরের ক্লাব পায়েস দ্য কাসেল। একটা ভালো মানের স্টেডিয়ামও নেই তাদের।
তারাই কি না প্রতিপক্ষ হিসেবে পেল পিএসজির মতো শক্তিশালী। দিনশেষে যা অনুমিত ছিল সেটাই হয়েছে। তাদের নিয়ে ছেলেখেলায় মেতেছে পিএসজি। ৭-০ গোলের বড় জয় নিয়ে ফ্রেঞ্চ কাপের শেষ ষোলোয় উঠে তারা। যেখানে কিলিয়ান এমবাপ্পে একাই করেন ৫ গোল।
পিএসজির ইতিহাসে এমবাপ্পেই প্রথম ফুটবলার, যার কি না প্রতিন্দ্বন্দ্বিতামূলক ম্যাচে ৫ গোল করার নজির আছে। এদিন প্রথমবার অধিনায়ক হিসেবে নেমেছিলেন এমবাপ্পে। সেই ম্যাচ দুর্দান্তভাবেই স্মরণীয় করে রাখলেন তিনি। প্রথম গোলের পর মাত্র ১১ মিনিটেই পূরণ করে ফেলেন হ্যাটট্রিকের কোটা। ২৯ তম মিনিটে ডেডলক ভাঙেন এই ফরোয়ার্ড।
৩৩ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন নেইমার। এরপর পিএসজির তিন গোলের তিনটি এমবাপ্পের করা। ৬৪ মিনিটে স্কোরশিটে নাম লেখান কার্লোস সোলার। ৭৯ তম মিনিটে কাসেলের কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকান এমবাপ্পে।
অপেক্ষাকৃত দুর্বল দলের বিপক্ষে প্রায় পূর্ণশক্তির দল সাজায় পিএসজি। এনিয়ে বিভিন্ন জায়াগায় হাস্যরসের শিকার হয় তারা। তবে এর পেছনের কারণ জানালেন এমবাপ্পে, ‘নিজেদের মানের ফুটবল খেলে এই দলকে সম্মান দেখাতে এসেছি। সেটা করতে পেরে আমরা খুবই খুশি। তাদের জন্য অসাধারণ সুযোগ ছিল এটি এবং আমাদের জন্যে একটি স্মৃতিচারণ। কারণ আমরাও আমেচার ফুটবল খেলে উঠে এসেছি এখানে এবং সেই সম্পর্কটা ধরে রাখা জরুরি। এমনকি সেটা যদি এক ম্যাচের জন্যও হয়। ’
শেষ ষোলোয় পিএসজির প্রতিপক্ষ চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মার্শেই। এদিকে পাঁচ গোলের মাধ্যমে এদিনসন কাভানির সঙ্গে ব্যবধানটা আরও কমিয়ে আনলেন এমবাপ্পে। কাভানি। ১৯৬ গোল নিয়ে উরুগুইয়ান ফরোয়ার্ডের ঠিক পরেই আছেন এই ফ্রেঞ্চ ফরোয়ার্ড। আর ৫ গোল করলেই পিএসজির ইতিহাসে সর্বোচ্চ গোলদাতা হবেন তিনি। ২০০ গোল নিয়ে তালিকার শীর্ষে আছেন কাভানি।