ফ্রিডম বাংলা নিউজ

বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ২১, ২০২৪ |

EN

বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক পরিস্থিতি: নজর রাখছে ভারত

বিশ্ব বাংলা ডেস্ক | আপডেট: বুধবার, অক্টোবর ২০, ২০২১

বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক পরিস্থিতি: নজর রাখছে ভারত

বাংলাদেশের সাম্প্রতিক সময়ে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার বিষয়ে ভারত এখনও পর্যন্ত কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেনি। ভারতের পররাষ্ট্র দপ্তর থেকে বলা হয়েছে যে, এটি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় এবং বাংলাদেশ সরকার ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে ভারত প্রত্যাশা করে। কিন্তু এর বাইরে ভারতের পক্ষ থেকে এই ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। গত ১৩ অক্টোবর থেকে বাংলাদেশে থেমে থেমে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনা ঘটছে। সার্বজনীন শারদীয় দুর্গোৎসবকে কেন্দ্র করে প্রথম ১৩ অক্টোবর এই সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনা ঘটে। তারপর দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষিপ্তভাবে এই সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। ভারতে বর্তমানে বিজেপির কট্টর হিন্দুত্ববাদী সরকার হিসেবে পরিচিত এবং হিন্দুদের স্বার্থ রক্ষার জন্য বিজেপি সরকার বদ্ধপরিকর, কথা বারবার বলছে।

 

সম্প্রতি ভারত কিছু আইন এবং নীতি পরিবর্তন করেছে। সেখানে বাংলাদেশ থেকে বা যেকোনো দেশ থেকে হিন্দু নাগরিকরা ভারতের বাড়তি সুযোগ-সুবিধা পাবে বলেও ঘোষণা করা হয়েছে। রকম অবস্থার প্রেক্ষিতে বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের ঘটনায় ভারতের প্রতিক্রিয়া কি হয় তা নিয়েও অনেকে প্রশ্ন করছেন। অনেকেই মনে করেন যে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের অবনতি ঘটানোর জন্য যেন আওয়ামী লীগের সঙ্গে ভারত সরকারের সম্পর্কের অবনতি ঘটে। এরকম বক্তব্যের প্রেক্ষিতে অনেকেই বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে ভারত কি প্রতিক্রিয়া দেখায় সেটি নিয়ে অনেকে উদ্বিগ্ন, চিন্তিত। বিশেষ করে যে সমস্ত গোষ্ঠী বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক সম্পর্কের অবনতি চায়, আওয়ামী লীগ সরকারকে দুর্বল করতে চায়, তারা আশা করেছিল যে ভারত এই ঘটনার পর প্রতিক্রিয়া দেখাবে এবং এটি সরকারের জন্য নেতিবাচক হবে। কিন্তু বাস্তবে ভারত এখন পর্যন্ত কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি। বরং বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় দূতাবাস মনে করছে যে, বাংলাদেশে যে ঘটনাটি ঘটেছে সেটা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার এবং বাংলাদেশের নাগরিকদের সুরক্ষার জন্য বাংলাদেশ সরকার যথাযথ ব্যবস্থা নেবে বলেই তারা প্রত্যাশা করে।

 

যদিও এই ঘটনার পর জাতিসংঘ ইতিমধ্যে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। জাতিসংঘ সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা সুরক্ষার জন্য তাগিদ দিয়েছে। ভারত এখন পর্যন্ত ব্যাপারে এরকম কোনো মন্তব্য করেনি। বিভিন্ন সূত্র বলছে যে, ভারত এই ঘটনা সম্পর্কে পর্যবেক্ষণ করছেন। তারা ওয়াকিবহাল বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কি হচ্ছে না হচ্ছে। আর কারণেই তারা কোনো প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করছে না। বিভিন্ন সূত্র জানাচ্ছে যে, ভারত মনে করে বাংলাদেশে একটি উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী আছে যারা বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নিপীড়ন করেছে এবং এই নিপীড়ন যেন বন্ধ হয় সেজন্য বাংলাদেশ-ভারত সবসময় কাজ করতে চায়। আর কারণেই বাংলাদেশ সরকার সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে রুখে দেয়ার জন্য কি পদক্ষেপ গ্রহণ করে সেটি দেখতে চায় ভারত। সংশ্লিষ্ট মহল মনে করে, যেটি মনে করা হয়েছিল যে এই ঘটনাটি দুই দেশের সম্পর্কের অবনতি ঘটাবে বাস্তবে সেটি ঘটেনি। বরং ভারত এর বিষয়টি নিয়ে আরও অপেক্ষার নীতি গ্রহণ করেছে।