১৫৯ রানের লক্ষ্যে ফরচুন বরিশালের দুই ওপেনার চতুরঙ্গ ডি সিলভা ও এনামুল হক বিজয় তখন মাঠে। রংপুর রাইডার্সকে ১৫৮ রানে আটকে বোলাররা নিজেদের কাজ গুছিয়ে রেখেছিলেন ভালোভাবেই।
এবার ব্যাটসম্যানদের পালা। কিন্তু প্রথম বল গড়ানোর আগেই বিপিএলে নতুন বিতর্ক। ফরচুন বরিশালের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান মাঠে ঢুকে গেলেন কোনো তোয়াক্কা না করে, থামিয়ে রাখলেন খেলা। তবে কী কারণে এমনটা হয়েছে তা জানা-বোঝা যায়নি। তার মাঠে ঢোকাকে কেন্দ্র করে অন্তত ৫ মিনিট খেলা বন্ধ ছিল।
ড্রেসিংরুম থেকে বেরিয়ে প্রথমে বাউন্ডারি দড়ির সামনে দাঁড়ান সাকিব। সেখানে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে ব্যাটসম্যানদের ইশারায় কিছু একটা বলেন। তার সঙ্গে কথা বলতে এগিয়ে যান চতুর্থ আম্পায়ার মোজাহিদুজ্জামান। আম্পায়ারকেও বোঝানোর চেষ্টা করেন সাকিব। কিন্তু তাতেও শান্ত দেখাচ্ছিল না বরিশালের অধিনায়ককে। দুই ব্যাটসম্যানকে উইকেট থেকে সরে আসার কথা বলেন।
এরপর সাকিব নিজেই মাঠে ঢুকে পড়েন। সরাসরি দুই অনফিল্ড আম্পায়ার গাজী সোহেল ও রাভেন্দ্র উইমালসারির সঙ্গে কথা বলেন। তাকে সে সময়ে খুব উত্তেজিত দেখা যায়। খেলা চলাকালে মাঠে ঢুকে সাকিব তখন খেলা থামিয়ে রাখেন। সেখানে রংপুরের খেলোয়াড়রা জটলা পাকিয়ে ছিলেন। অধিনায়ক সোহানের সঙ্গেও সাকিবকে কথা বলতে দেখা যায়। কিন্তু পরিস্থিতি এতটাই জটিল ছিল যে, বোঝার উপায় ছিল না মাঠে কী হয়েছিল।
তবে ধারণা করা যাচ্ছে, স্ট্রাইক ও নন স্ট্রাইক প্রান্তে ব্যাটসম্যান ও বোলার নির্বাচন করাকে কেন্দ্র করেই জটিলতার সৃষ্টি হয়। ফরচুন বরিশালের বক্তব্যও সেরকম। দলটির ম্যানেজার সাজ্জাদ আহমেদ শিপন বলেছেন, ‘নিয়ম অনুযায়ী কোন বোলার বল করবেন, তা ঠিক হওয়ার পর ব্যাটসম্যানরা কে স্ট্রাইক নেবেন সেটা নির্ধারণ হয়। এক্ষেত্রে শেখ মেহেদীকে বল করতে আসতে দেখে চতুরঙ্গ ডি সিলভার বদলে এনামুল হক বিজয়কে স্ট্রাইকে চাচ্ছিলেন সাকিব। কিন্তু আম্পায়ার সেটার অনুমতি দিতে রাজি হচ্ছিলেন না, এই নিয়ে কথা বলতে মাঠে প্রবেশ করেন তিনি।’