বিপিএল নিয়ে কিছুদিন আগেই বিস্ফোরক মন্তব্য করেছিলেন অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। বলেছিলেন, বিপিএলের সিইও হলে পুরো টুর্নামেন্টকে গোছাতে সময় লাগবে ১ থেকে ২ মাস। সাকিবের এমন বক্তব্যের পর বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের চেয়ারম্যান শেখ সোহেল বলেন, সাকিব চাইলে পরের আসরেই তাকে সিইওর দায়িত্ব দেওয়া হবে।
এরপর আরেকটি অনুষ্ঠানে সাকিব জানিয়েছেন, বিসিবির প্রধান নির্বাহী নয়, হলে বিসিবি প্রধানের পদেই বসতে চান তিনি। এই টাইগার অলরাউন্ডারের এমন মন্তব্য পৌঁছে গেছে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের কানেও। তিনি মনে করেন সাকিবের আগ্রহ থাকলেও এটা এখন সম্ভব না। এসব দায়িত্ব নিতে হলে সাকিবকে আগে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছাড়তে হবে।
সম্প্রতি 'নট আউট নোমানের' সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় পাপন বলেন, সাকিবকে বিপিএলের দায়িত্ব দেয়া সম্ভব হলে এখনই দেয়ার জন্য প্রস্তুত ছিল বিসিবি। বিপিএলে খেলার জন্য অনেক আগেই ফরচুন বরিশালের সঙ্গে খেলার জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন এই অলরাউন্ডার। তবে এসব দায়িত্ব পালন করতে সাকিবের জাতীয় দলের খেলা ছাড়ার পক্ষে নন পাপন। উল্টো সাকিব বিপিএলের প্রধান নির্বাহী হলে কি পরিবর্তন করতেন এমন প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
বিসিবি সভাপতির ভাষ্য, 'আচ্ছা ও (সাকিব) হবে (বিপিএলের সিইও)? হলে তো এখনই দিতাম। ও অলরেডি টাকা নিয়ে নিছে একজনের কাছে থেকে.. এখনই দিতাম, এবারই দিতাম। তো কি পরিবর্তনটা করতো? হ্যাঁ, বড়জোর বলতে পারতো আমি এফটিপির খেলা খেলবো না, এইতো। আমরা তো এটা মানি না। ও সিইও হয়ে বললেও তো আমরা মানবো না।'
পাপনের ভাষ্যে, বিপিএলে চাইলেই ডিআরএস আনতে পারতো বিসিবি। সেক্ষেত্রে ভারতের বিপক্ষে সিরিজে ডিআরএস বিসর্জন দিতে হতো। যেমনটা করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট। তাদের ফ্রাঞ্চাইজি লিগের কারণে এফটিপির সিরিজই বাদ দিয়েছে।