ডাবল সেঞ্চুরিটার জন্যই সম্ভবত অপেক্ষা করছিলেন ডেভিড ওয়ার্নার। লুঙ্গি এনগিদিকে বাউন্ডারি মেরেই উদযাপন করতে গেলেন অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার। কিন্তু তার উদযাপনটা সঠিকভাবে হলো না। আহত হয়ে গেলেন। এরপর ফিজিও এসেও তাকে সোজা করে দাঁড় করাতে পারলেন না।
ডাবল সেঞ্চুরি করেই আহতাবস্থায় মাঠ ছাড়লেন ডেভিড ওয়ার্নার। তার আগে বিরল এক কীতি গড়ে ফেললেন অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার। শততম টেস্টে ডাবল সেঞ্চুরি করা দ্বিতীয় ব্যাটার হলেন তিনি। এতদিন এই একটি আসনে এককভাবে বসে ছিলেন ইংল্যান্ডের জো রুট। যিনি প্রথম ব্যাটার হিসেবে শততম টেস্টে ডাবল সেঞ্চুরি করেছেন। ডেভিড ওয়ার্নার দ্বিতীয় ব্যাটার হিসেবে এই কীর্তি গড়লেন।
তবে শততম টেস্টে সেঞ্চুরি করা ১০ম ব্যাটার হলেন ওয়ার্নার। শুধু সেঞ্চুরিই নয়, নিজের ইনিংসটাকে আরও বড় করার দিকে মনযোগ দেন তিনি। যে কারণে ২৫তম সেঞ্চুরিটাকে ডাবল সেঞ্চুরিতে রূপান্তরিত করতে পারলেন ওয়ার্নার।
২৫৪ বল খেলে ১৬টি বাউন্ডারি এবং ২টি ছক্কায় ডাবল সেঞ্চুরি পূরণ করেন তিনি। এর আগে ক্যারিয়ারের ২৫তম সেঞ্চুরি পূরণ করতে ১৪৪ বল খেলেন।
গত প্রায় তিন বছর কোনো সেঞ্চুরি নেই ওয়ার্নারের ব্যাট। সেই ২০২০ সালের ৩ জানুয়ারি নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিডনিতে অপরাজিত ১১১ রানের ইনিংস খেলেছিলেন তিনি।
এরপর ১৫টি টেস্ট খেললেন। দুটি ইনিংসে ৯৪ এবং ৯৫ ও রয়েছে। কিন্তু তিন অংকের দেখা পাননি। অবশেষে নিজের শততম টেস্টে এসে সেঞ্চুরি খরা কাটালেন তিনি এবং শুধু তাই নয়, ডাবল সেঞ্চুরিও করলেন।
সেঞ্চুরি করার আগেই আরো এক কীর্তি গড়েছেন অস্ট্রেলিয়া দলের এই ওপেনার। ৮ হাজার রানের মাইলফলকে পৌঁছাতে তার প্রয়োজন ছিল কেবল ৭৮ রান। এই কীর্তি সেঞ্চুরি পূরণ করার আগেই গড়ে ফেলেন তিনি।
ক্যারিয়ারে এ নিয়ে তিনবার ২০০ রানের মাইলফলক ছুঁলেন ওয়ার্নার। এর মধ্যে একবার পার হয়ে গেছেন ৩০০ রানের গণ্ডিও। ২০১৯ সালের নভেম্বরে পাকিস্তানের বিপক্ষে অপরাজিত ৩৩৫ রানের ইনিংস খেলেছিলেন তিনি। এছাড়া আরও একবার ২০১৫ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ২৫৩ রানের ইনিংস খেলেছিলেন তিনি।